পুরুলিয়া শহরে ওসি ট্রাফিকের অফিসের বাইরে টোটো নিয়ে চালকদের অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র।
সব চালককেই শহরে টোটো চালানোর ছাড়পত্র দেওয়ার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন পুর এলাকা এবং লাগোয়া গ্রামগুলির টোটো চালকদের একাংশ। সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন পুলিশ লাইনে, ওসি ট্রাফিকের অফিসের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
কয়েক মাস আগে পুরুলিয়ার পুর-এলাকায় টোটো গণনা করে নম্বর দিয়েছিল প্রশাসন। সুশান্ত সান্যাল, নেপাল পাণ্ডে, তারকনাথ বিদ-সহ বেশ কয়েকজন টোটো চালক জানান, গণনার সময় বিভিন্ন কারণে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। তার পরে রাস্তায় টোটো নিয়ে নামলে পুলিশ ধরপাকড় করছে।
সোমবার পুরুলিয়া ১ ব্লকে টোটো চালকদের গাড়ির নথিপত্র দেখে নম্বর দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। নতুন ক্রমিক নম্বর দেওয়া হচ্ছে শুনে শহরের চালকদের একাংশ সেখানে যান। কিন্তু জানা যায়, সেখানে যে নম্বর মিলবে তা নিয়ে শুধু ওই ব্লক এলাকাতেই টোটো চালানো যাবে। ব্লক এলাকার নম্বর নিয়ে শহরে টোটো চালানো যাবে না। বিষয়টি জানতে পেরেই শহর এবং গ্রামের টোটো চালকদের একাংশ ওসি ট্রাফিকের অফিসের সামনে গিয়ে টোটো দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিডিও (পুরুলিয়া ১) স্বপন মাইতি বলেন, ‘‘যতগুলি টোটো এসেছিল নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শহর এবং গ্রামের রুট আলাদা করে বেঁধে দেওয়াতে চালকদের একাংশ আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁরা ব্লকের পাশাপাশি শহরের রাস্তাতেও টোটো চালানোর অনুমতি চান।’’ ব্লকের এক টোটো চালকের দাবি, ‘‘আগে যাঁদের নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই তো পুর-এলাকার ক্রমিক নম্বর পেয়েছেন। আমরা কেন বাদ যাব?’’ বিক্ষুব্ধ চালকদের একাংশ এ দিন তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর সঙ্গে দেখা করেন। শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘আমাকে ওঁরা কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দেখব।’’
জেলা পরিবহণ আধিকারিক অনির্বাণ সোম বলেন, ‘‘যাঁরা সময় মতো নম্বর নিতে পারেননি তাঁদের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ব্লক এলাকায় আলাদা ভাবে ক্রমিক নম্বর দেওয়ার কাজ চলছে।’’