বিশ্বভারতীতে তৃণমূলের পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী চত্বরে তৃণমূলের পোস্টার ঘিরে গুঞ্জন শুরু হল। ক্যাম্পাসের ভিতরে উপাসনা গৃহ যাওয়ার রাস্তায় একুশে জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার ডাক দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। রবিবার তা নজরে আসতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক থেকে শুরু করে সকলে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত বছর ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া, বক্স বাজানো থেকে শুরু করে দলের পতাকা নিয়ে মিছিল করার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবারও পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের কথায়, “বিশ্বভারতীর ভিতরে-বাইরে এখন রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজন।’’ আর এক আশ্রমিক সৌরীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বভারতী চত্বরে রাজনীতির রং কাম্য নয়। বিশ্বভারতী এই সবের বাইরে থেকেছে চিরকাল।” পড়ুয়া তথা বিশ্বভারতীর এসএফআইয়ের লোকাল কমিটির সদস্য সোমনাথ সৌ মনে করেন, “ক্যাম্পাস চত্বরে ছাত্র রাজনীতি থাকতে পারে। তবে মূল স্রোতের রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করা উচিত নয়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকরাও বলছেন, “বিশ্বভারতী চত্বরে রাজনীতির প্রবেশ শোভা পায় না। এ সব থেকে বিশ্বভারতীকে দূরে রাখাই শ্রেয়।” রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের দবি, “কোনও কর্মী হয়তো ভুল করে ওই পোস্টার লাগিয়ে ফেলেছে। আমরা খুলে নেব। কিন্তু, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষেরও রাজনীতির যোগ বন্ধ করা দরকার।” এই নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।