Murari

দ্বন্দ্বে শক্তিশালী বিরোধীরা, চিন্তা তৃণমূলের অন্দরে

তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানান, দলের ভিতরের এই কোন্দলের সুবিধে পাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। চলতি সপ্তাহের বুধবার কংগ্রেসের ব্লক ও থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়।

Advertisement

তন্ময় দত্ত 

মুরারই শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৩
Share:

উচ্ছেদের কথা জানিয়ে রেলের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেলে বন্দি। অন্য দিকে, মুরারই ১ ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের মধ্যে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোন্দল মেটাতে আসরে নামতে হয়েছে জেলা কমিটিকে। তৃণমূলের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের নানা কর্মসূচিতে ভিড় হচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি বৈঠক করে যে নামের তালিকা জেলায় পাঠিয়েছিলেন সেই তালিকা থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছিলেন অনুব্রত। তালিকার বিপক্ষে মুখ খোলার সাহস ছিল না। এ বার প্রার্থী তালিকা তৈরির সময়ে অনুব্রত অনুপস্থিত। ফলে, নানা জায়গায় কোন্দল মাথা চাড়া দিয়েছে।

তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানান, দলের ভিতরের এই কোন্দলের সুবিধে পাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। চলতি সপ্তাহের বুধবার কংগ্রেসের ব্লক ও থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়। ওই কর্মসূচিতে হাজার চারেকের বেশি লোক হয়েছিল। যা ভাবাচ্ছে মুরারই ২ ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বকে।

Advertisement

কংগ্রেসের জেলা কমিটির সহ সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, ‘‘প্রার্থী তালিকা নিয়ে মুরারই ২ ব্লকে বিভিন্ন বুথে হাতাহাতির মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা গোটা বছর তৃণমূল সংগঠন করেছেন, তাঁদের তালিকায় নাম না থাকায় এই ঘটনা বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির ফলে সাধারণ মানুষজন কংগ্রেসে আস্থা রাখতে শুরু করেছে। তৃণমূলের দুই ব্লকে সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাও আমাদের সাহায্য করছে। পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস ভাল ফল করবে।’’

যদিও বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক অরিন দত্তের মতে, ‘‘সিপিএম ও কংগ্রেসকে মানুষজন দেখেছেন। এরা তৃণমূলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে। বিজেপি সাধারণ মানুষজনের জন্য লড়ছে। স্বচ্ছপ্রার্থী দিয়ে এ সব দলকে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হবেন। বুথে বুথে বৈঠকে কর্মী সমাগম দেখে তা স্পষ্ট।’’

যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘যে সংগঠন অনুব্রত জেলায় করে গিয়েছেন তার প্রভাব রয়েছে। তৃণমূলে প্রার্থী হলেই জয় নিশ্চিত বলে অনেকেই আশাবাদী। সে জন্য কয়েকটি বুথে সমস্যা হয়েছিল। তা দলীয় ভাবে সমাধান করা হয়েছে। কোনও বুথে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাঁচ জন কর্মীও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে কেষ্টদা জেলায় না থাকলেও, তাঁর পরামর্শেই দল পঞ্চায়েত ভোটে লড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement