জখম মহিলা সদস্য

পঞ্চায়েতেই চুলোচুলি শাসকদলে

দলে গোষ্ঠী কোন্দল ছিলই, এ বার হাতাহাতি! শাসক দলে জেলায় কোন্দল নতুন নয়। নানুর থেকে বোলপুর সেই কোন্দলে কখনও জড়িয়েছে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০০:২৬
Share:

দলে গোষ্ঠী কোন্দল ছিলই, এ বার হাতাহাতি! শাসক দলে জেলায় কোন্দল নতুন নয়। নানুর থেকে বোলপুর সেই কোন্দলে কখনও জড়িয়েছে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। তো কখনও বিধায়কের নাম। বুধবার জেলার এক পঞ্চায়েতের ভিতরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ দলেরই জেলা মহিলা সভাপতির বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটে মুরারই পঞ্চায়েতের ভাদিশ্বরে। আক্রান্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যার নাম অনিতা রবিদাস। তিনি মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আগে কংগ্রেসের সদস্য ছিলাম। পরে তৃণমূলে যোগদান করি। আমি একজন তৃণমূলে সদস্য হওয়া সত্ত্বেও দলের জেলা মহিলা সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ আমার কাছে প্রতি কাজে টাকা চাই। সম্প্রতি একটি ঢালাই রাস্তার কাজে আমার কাছে টাকার ভাগ চায়। কিন্তু আমি দিতে চাইনি।” তাঁর দাবি, ‘‘বুধবার বিকালে ফাল্গুনী সিংহ ও তাঁর ভাই লোকজন-সহ পঞ্চায়েতে এসে বিভিন্ন কাজের তথ্য জানতে চায়। তাঁদেরকে বলি কাজের তথ্য প্রধানকে দেব। এতেই ওরা আমাকে মারধর করে। সভাপতিকে জানানো সত্ত্বেও কিছুই হয়নি।’’ ঘটনার কথা তৃণমূলের জেলা মহিলা সভাপতি ফাল্গুনী সিংহের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ফোন কেটে দেন। এসএমএসেরও উত্তর দেননি। মুরারই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের দুলাল বিন অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ঘটনার সময় পঞ্চায়েতে ছিলাম না। ঠিক কি ঘটেছে না জেনে বলতে পারব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement