তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে গুলি

টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বচসায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চালানো, পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। কাঁকরতলা থানা এলাকার পারশুণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতারিয়ার বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকরতলা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০১:৫৯
Share:

টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বচসায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চালানো, পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। কাঁকরতলা থানা এলাকার পারশুণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতারিয়ার বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অবৈধ কয়লা, একশো দিনের প্রকল্পে টাকার ভাগ চাওয়া নিয়ে কাঁকরতলা থানা এলাকার বড়রা গ্রামের শেখ খিলাফত ও মহিবুলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তেমনটা না মানলেও তৃণমূল কর্মী শেখ খিলাফতের অভিযোগ, ‘‘পারশুণ্ডীর বড়কোলা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পাতারিয়ার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পথ আটকায় শেখ মহিবুল, শেখ সহিদুল ও শেখ শানু ছয় সমাজবিরোধী। প্রাণে মারতে ওরা গুলিও চালায়।’’ সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। একই বক্তব্য তাঁর খুড়তুতো ভাই তথা বড়রা গ্রামের নির্বাচিত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাবের আলিরও।

কেন এমন আক্রমণ?

Advertisement

ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, দিন কয়েক আগে গ্রামের একটি পুকুরে ১০০ দিনের কাজের ৭৫ শতাংশ টাকা দাবি করছিল মহিবুল। না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন। সাবেরের দাবি, ‘‘সেই আক্রশেই দাদার উপর হামলা।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ মহিবুলের পাল্টা দাবি, ‘‘ওরা কয়লার কারাবার করে। তা থেকে তোলাবাজিও করে। আমরা আক্রমণ করিনি বরং শেখ খিলাফতই সকালে আমার বন্ধু শেখ শানুর বাড়িতে বোমাবাজি করে।’’ তার দায় এড়াতেই পাল্টা হামলার কথা তুলছে বলে দাবি মাহিবুলের। দু’পক্ষের অভিযোগের সত্যতা জানতে তদন্তে নেমেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। তবে পুলিশের একাংশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কোনও পক্ষই কম যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement