বহিষ্কৃত রাকেশকে দলে ফেরাল তৃণমূল

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে রাকেশকে দলে ফেরানো হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে রামপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল তিনটি-তিনটি করে আসন পেয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

অনুব্রত ও রাকেশ মণ্ডল, মহম্মদবাজারে। ছবি: পাপাই বাগদি

বিজয়া সম্মিলনীর সভায় দলে ফেরানো হল রামপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বহিষ্কৃত অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলকে। তবে এখনই কোনও পদ দেওয়া হয়নি। রবিবার মহম্মদবাজারের বলিহারপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে রামপুরহাট বিধানসভার ছ’টি পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ওই সভা হয়। সেখানে

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে রাকেশকে দলে ফেরানো হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে রামপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল তিনটি-তিনটি করে আসন পেয়েছিল। ১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬৪টিতে তৃণমূল নিরঙ্কুশ হলেও ব্যতিক্রম ছিল গণপুর আর টাই হওয়া রামপুর। রামপুর পঞ্চায়েতে এমন ফলের পর্যালোচনায় উঠে আসে নীচুস্তরের নেতাদের দুর্নীতির অভিযোগ। তখনই সামনে আসে অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলের নাম। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মহম্মদবাজারের কালীতলা মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল অঞ্চল সভাপতি রাকেশকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন। প্রায় দশ মাস পরে দলে ফেরানো হল তাঁকেই।

দল বহিষ্কার করলেও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিলেন রাকেশ। এলাকায় প্রভাব বাড়ছে বিজেপিরও। তাই কি ফের দলে ফেরানো হল? মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘রাকেশ যাতে দলের

Advertisement

হয়ে নিজের অঞ্চলে সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা সভাপতি।’’ আর রাকেশ বলছেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছিলাম। বহিষ্কৃত হলেও তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে এসেছি। তাই দল ফিরিয়ে নিল। আমি খুব খুশি।’’ একে নাটক হিসেবে

দেখছে বিজেপি। দলের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ ভাণ্ডারী বলেন, ‘‘এলাকার এক গোষ্ঠীকে চুপ করানোর জন্য এক নেতাকে বহিষ্কার করছে। আবার কিছু দিন পরে সেই নেতাকেই দলে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।’’

বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে অনুব্রত আবারও জানিয়ে দেন, এলাকার কোনও মানুষকে দু’বার বাড়ি দেওয়া হলে সেই পঞ্চায়েত সদস্যকে জেল খাটানো হবে। এনআরসি-র সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। জেলা তৃণমূলের সভাপতির কথায়, ‘‘আপনারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকুন। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি পশ্চিমবাংলায় এনআরসি চালু হবে না।’’

বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে ছ’টি পঞ্চায়েতের ৬৬টি বুথের তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে আগামী দিনে কী ভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় অনুব্রত ছাড়াও ছিলেন জেলার দুই সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ ও মলয় মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ সহ তৃণমূলের অন্য নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement