রঘুনাথপুর ও হুড়ায় (নীচে) বিজেপি কর্মীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
‘নীতিযাত্রা’-য় ভিড় জমাতে ব্যর্থ বিজেপি, কর্মসূচি শুরুর দিনে দাবি করল তৃণমূল। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা তবে বলেন, ” নীতিযাত্রা নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তই ছিল ন্যূনতম দু’শো কর্মী-সমর্থক মিছিলের সঙ্গে পুরুলিয়া পৌঁছবে। তবে সব ক্ষেত্রেই তার অনেক বেশি সংখ্যক কর্মী মিছিলে ছিলেন।”
কেন্দ্র সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরতে এবং তৃণমূলের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রবিবার জেলার চার প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির ‘নীতিযাত্রা’ কর্মসূচি। তবে একমাত্র বলরামপুরের মিছিল ছাড়া জেলার অন্য তিন প্রান্তের মিছিলগুলিতে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি তেমন ছিল না বলেই কটাক্ষ করেছে শাসকদল।
এ দিন ঝালদার পঞ্চশহিদ মোড় থেকে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে মেরেকেটে একশোর মতো কর্মী-সমর্থককে দেখা গিয়েছে। রঘুনাথপুরের ব্লকডাঙার দলীয় কার্যালয় থেকে রঘুনাথপুরের বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউরির নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। সেখানেও জনা আড়াইশো মতো কর্মী-সমর্থক ছিলেন। কাশীপুর বিধানসভার মূল মিছিলটি শুরু হয় হুড়া থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন কাশীপুরের বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা ও জেলার সম্পাদক আব্দুল আলিম আনসারি। পরে মধুবন এলাকায় মিছিলে যোগ দেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। মিছিলের শুরুতে পাঁচশোর মতো কর্মী-সমর্থকের ভিড় ছিল। পরে কাশীপুর থেকে আর একটি মিছিল গিয়ে লধুড়কায় হুড়ার মিছিলের সঙ্গে মেশে। পাড়া বিধানসভার আনাড়া থেকেও মিছিল শুরু হয় পাড়ার বিধায়ক নদীয়ারচাঁদ বাউরি ও রাজ্য কমিটির সদস্য বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে। সেখানে শ’দুয়েকের মতো কর্মী-সমর্থক ছিলেন।
ভিড়ের নিরিখে ব্যতিক্রম ছিল বলরামপুরের মিছিল। বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো, জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা ও রাঢ়বঙ্গ জ়োনের নেতা অনুপম মল্লিকদের নেতৃত্বে মিছিলে ছিলেন হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক শামিল হয়েছিলেন। তবে মিছিল কাঁটাডিতে পৌঁছতে পৌঁছতে ভিড় কমে অর্ধেকে দাঁড়ায়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, ‘‘বিজেপি এ দিন ‘নীতিহীন’ যাত্রা করেছে। তারা রাজ্যের প্রাপ্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা, আবাস যোজনার টাকা, রাস্তা তৈরির টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। যারা সাধারণ মানুষের উন্নয়নমুখী প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখে নীতিযাত্রার কথা মানায় না।”