— নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরোধী-বাণ ভোঁতা করতে পাল্টা আক্রমণে নামল তৃণমূল। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের গেলিয়ার একটি সভা থেকে তৃণমূলের তরফে এই ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, বাম আমলে আশাকর্মী থেকে আইসিডিএস, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এ বার সেই তালিকা তৈরি করে মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বামেরাও।
সামনেই গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী সব শিবিরই। বাম আমলে চাকরি দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এনে বিরোধীদের কোণঠাসা করার ডাক দিয়েছেন বাঁকুড়ার জয়পুরের তৃণমূল নেতারা। শুক্রবার বিকালে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের গেলিয়ায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের জয়পুরের ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, “বাম আমলে এলাকার কোন কোন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠেরা কোন দফতরে চাকরি পেয়েছেন তা আমাদের জানা আছে। সে সময় বাম নেতা কর্মীদের বাড়ির মহিলাদের চিরকুটে আইসিডিএস ও আশাকর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদেও নেতার বাড়ির লোকজনের চাকরি হয়েছে। চিরকুটে হাসপাতালেও চাকরি হয়েছে। এ বার আমরা সেই তালিকা তৈরি করছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তা প্রচার করা হবে।’’
তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের সভাপতি কৌশিকের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাম নেতৃত্ব । সিপিআইয়ের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য গণেশগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য বাম নেতৃত্ব এ ব্যাপারে তাঁদের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। বাম আমলে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে পরীক্ষা দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন অনুসরণ করে তবেই চাকরি পেয়েছেন। সামনেই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। সরকার দুর্নীতি করেছে তার পরীক্ষা হয়ে যাবে।” সিপিএমের জয়পুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানিক রায় বলেন, “নিজেদের দুর্নীতি ঢাকা দিতে এখন তৃণমূল এ সব কথা বলছে । এর কোনও অর্থ নেই। ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল আগে প্রমাণ করে দেখাক।”