‘জলকষ্টে রয়েছি’, শুনলেন বিধায়ক

শনিবার সকালে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত বারোমেসিয়া গ্রামে যান রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০১:২০
Share:

বারমেসিয়া গ্রামে পুর্ণচন্দ্র বাউড়ি। নিজস্ব চিত্র

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জনসংযোগ গড়তে গ্রামে গিয়ে রাস্তা ও জলের সমস্যার কথা শুনতে হল বিধায়ককে।

Advertisement

শনিবার সকালে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত বারোমেসিয়া গ্রামে যান রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, গ্রামের মূল রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা। নানা জায়গায় সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা হয়নি। একই সঙ্গে বাসিন্দারা গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।

ঘটনা হল, শাঁকা পঞ্চায়েত এ বার বিজেপির দখলে গিয়েছে। তবে বারোমেসিয়া গ্রাম সংসদের আসনে জিতেছে তৃণমূল। সকালে ওই গ্রামে ঘুরে দুপুরে দলীয় কর্মী অভিরাম মুর্মুর বাড়িতে খাবার খান তিনি। সন্ধ্যায় আবার এক প্রস্ত জনসংযোগ সেরে পাড়া বৈঠক করেন। পূর্ণবাবু জানিয়েছেন। রাতে বারোমেসিয়াতেই থাকবেন। সকালে সেখানে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে গ্রাম ছাড়বেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম, মাকু টুডু বলেন, ‘‘গ্রামের মূল রাস্তা কাঁচা। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে। চলাচল করাই মুশকিল।’’ সারথি টুডু, সোনামণি টুডুদের অভিযোগ, গ্রামে কয়েকটি টিউবওয়েল থাকলেও সেগুলির মধ্যে একটি থেকেই শুধু জল পাওয়া যায়। ফলে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা আছে গ্রামে। কয়েকটি পুকুর থাকলেও দীর্ঘদিন সে সবের সংস্কার না হওয়ায় গরমে জল শুকিয়ে গিয়েছে।

তবে পুকুরগুলির সংস্কার করা-সহ জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে নতুন পুকুর বারোমেসিয়াতে খোঁড়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার কথাই শুনতে এসেছি। তাঁরা যে সব সমস্যা জানিয়েছেন সেগুলি ব্লক প্রশাসনের পক্ষেই মেটানো সম্ভব। প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement