বোর্ডের আগের রাত হস্টেলেই

কাল, বুধবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়ে যাবে। তার আগের রাতটা ‘একান্নবর্তী’ হয়ে থাকবেন তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা। দল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার ব্যবস্থা করা হয়েছে মানভূম ক্রীড়া সংস্থার হস্টেলে।

Advertisement

প্রশান্ত পাল

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

কাল, বুধবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়ে যাবে। তার আগের রাতটা ‘একান্নবর্তী’ হয়ে থাকবেন তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা। দল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার ব্যবস্থা করা হয়েছে মানভূম ক্রীড়া সংস্থার হস্টেলে। ওই রাতটা হস্টেলেই কাটাতে হবে তাঁদের।

Advertisement

কেন? তৃণমূলের জেলা সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলছেন, ‘‘এমন কিছু ব্যাপার না। দলে একটা উৎসবের মেজাজ রয়েছে। আবার আমরা ক্ষমতায় আসছি। বোর্ড গঠনের বিভিন্ন ব্যাপারে সবাই কথা বলে নেবেন। অনেকেই তো নতুন। বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া বোঝানো হবে। কিছু জানানোর থাকলে সেটাও বলবেন। তার পরে একসঙ্গে সবাই জেলা পরিষদে রওনা হবেন।’’ পুরুলিয়া জেলা পরিষদের আসন ৩৮টি। ২৮টি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। বোর্ড যে তারাই গড়বে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। তবে যে প্রশ্নের উত্তর দলের নির্বাচিত সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতে পারেননি, সেটা হল, সভাধিপতি কে হবেন?

এ বারে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনটি অসংরক্ষিত। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অনেকেই ওই পদের দাবিদার রয়েছেন। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কারও নাম ‘চাপিয়ে দেওয়া’ হলে ভোটাভুটির দিকে ব্যাপারটা গড়াতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে বাঘমুণ্ডি আর বরাবাজারে দেখা গিয়েছে বিজেপি আর কংগ্রেস মিলে বোর্ড গড়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনে বিরোধীরা কী করেন, সেটা নিয়েও অনেকের কৌতূহল রয়েছে।

Advertisement

তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো ভোটাভুটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সভাধিপতি কে হবেন তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এ কথাও বলছেন, ‘‘ভোটাভুটির প্রশ্নই নেই। কে সভাধিপতি হবেন সেটা দলনেত্রী নিজে ঠিক করবেন। তিনি যা নির্দেশ দেবেন সবাই সেটা মেনে চলবেন।’’

এখন আগ বাড়িয়ে তৃণমূলের কোনও সদস্যই প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। তবে দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন বলে খবর, তাঁদের এবং ঘনিষ্ঠদের ফোন দিনভর বেজে চলেছে। কলকাতায় দলের তাবড় নেতাদের কাছেও ফোন যাচ্ছে বলে খবর। সদস্যদের কেউ সোমবার মন্দিরে ছুটেছেন। কেউ কলকাতা থেকে ফিরে নিজেকে এক প্রকার গৃহবন্দি করে ফেলেছেন।

আর জেলা পরিষদের জয় সংক্রান্ত নথিপত্রও গুছিয়ে রাখছেন সবাই। সূত্রের খবর, নবেন্দু মাহালির নাম করে সদস্যদের মোবাইলে যে বার্তা গিয়েছে, তাতে হস্টেলে রাত্রিবাসের খবর দেওয়ার সঙ্গে বলা হয়েছে ওই নথিপত্র মনে করে নিয়ে আসতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement