বিশ্বভারতীতে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবার রাজনৈতিক পতাকা উড়তে দেখা গেল। যেন স্পষ্টভাবে অনুপ্রবেশ ঘটল রাজনীতির। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ এবং তালধ্বজ বাড়ির সামনে উড়ল তৃণমূলের পতকা। এর আগে এ ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকার উপস্থিতি দেখা যায়নি যেখানে। সেই সঙ্গে বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা একটি রাস্তার শিলান্যাস করলেন। সেখানে সমর্থকদের হাতে তৃণমূলের পতাকা দেখা গেল। এমনকি নো হর্ন জোনে বড় বড় বক্স বাজিয়েও বিতর্কে জড়ালেন অনুব্রত।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তাটির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে ফের পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেন। বৃহস্পতিবার সেই রাস্তার সংস্কারের কাজে নারকেল ফাটিয়ে উদ্বোধন করলেন অনুব্রত। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর নো হর্ন জোনে বড় বড় বক্সে চালল রবীন্দ্র সঙ্গীত।
অনুব্রত যখন রাস্তার শিলান্যাসের কর্মসূচি পালন করছিলেন তইখন দলীয় সমর্থকদের তৃণমূলের পতাকা হাতে দেখা গেল। রাস্তা শিলান্যাস প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার দায়িত্ব বিশ্বভারতীর উপর ছিল। কোনও রকম সংস্কার হয়নি। কয়েক শো মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান, রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। সংস্কারের আবেদন করেন তাঁরা। এর পরই পূর্ত দফত ফের রাস্তাটির দায়িত্ব নেয়। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এবার দ্রুত সংস্কার হবে। আর বিশ্বভারতী রাস্তার উপর যে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে তাও সরে যাবে কাজ শুরু হলেই।”
বিশ্বভারতীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতির পরই অনুব্রত কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীতে দলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তার পরই উপাসনা গৃহ ও তালধ্বজ বাড়ির সামনে দলীয় পতাকা নিয়ে কার্যত ছোটখাটো পথসভা করলেন অনুব্রত।
বিশ্বভারতীতে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল নেতা বলেন, “উপাচার্যই এখানে রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছেন। তারই প্রতিফলন এটি।”