এখনও উত্তেজনা নানুরের বনগ্রামে— নিজস্ব চিত্র।
নানুরের বনগ্রামে স্থানীয় জলঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের মারধর এবং মোটরবাইক অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়াতেই পরিকল্পনা মাফিক বুধবার সন্ধ্যায় হামলা চালানো হয়।
রাতে ঘটনাস্থলে নানুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। হামলায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিকল্পনা মাফিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় তপন তাঁর করেকজন সঙ্গীকে নিয়ে মদ্যপানের পরে বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। সেখানে বসে তাঁরা অশালীন ভাষায় বিজেপি কর্মীদের গালি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। প্রথমে বিজেপি কর্মীরা বারণ করলে তপন চুপ করে গেলেও কিছুক্ষণ পরে আবার বিজেপি কর্মীদের গালি দিতে শুরু করেন। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি কর্মীরা তপনের বাইক ভাঙচুর করেন এবং তাঁকে মারধর করেন।
বিজেপি-র অভিযোগ, অতীতে মহিলাদের কটূক্তি করার অভিযোগও উঠেছে তপনের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার করছে। বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘তপন ভালো মানুষ। উনি কখনও হিংসার রাজনীতি করেনি। বনগ্রাম দখল করতেই তপনের উপর এই আক্রমণ। তাঁর চরিত্র হননের এই চেষ্টা।’’