আলোচ্য: উচ্চ মাধ্যমিক সংক্রান্ত সভায়। বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। একটি ঘরে অন্তত তিন জন করে ‘ইনভিজিলেটর’ (পরিদর্শক) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। একই সঙ্গে পরীক্ষা শুরুর আড়াই ঘণ্টা আগে, সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে পুলিশকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর কথাও জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে মঙ্গলবার একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল বোলপুর পুরসভার উৎসর্গ মঞ্চে। সেখানে শিক্ষা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা থেকে জানা যায়, এ বছর বীরভূম জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল পরীক্ষাকেন্দ্র ২৭টি এবং অধীনস্থ পরীক্ষাকেন্দ্র ৮৩টি। গত বছর ২৬টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্র ও ৫৫টি অধীনস্থ পরীক্ষাকেন্দ্র মিলে মোট সংখ্যা ছিল ৮১টি। এ বার সেই সংখ্যা বেড়েছে।
সংসদের সভাপতি এ দিন জানান, সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার ইনচার্জ, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি কমিটি (ড্যাক) এবং কাউন্সিল নমিনি ছাড়া সঙ্গে কেউ মোবাইল ফোন রাখতে পারবেন না। পরিচয়পত্র ছাড়া কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টা থেকে, তার আগে কেউ যাতে প্রশ্নপত্রের সিল খুলতে না পারেন সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি। পরীক্ষা শুরুর পরে প্রথম এক ঘণ্টা বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত। এ দিনের কর্মশালায় পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অ্যাকাডেমিক সেক্রেটারি (স্পেশ্যাল ডিউটি) তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি ক্যাম্প করা হবে। সেখানেই অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে। নিয়মাবলি সংক্রান্ত পুস্তকও প্রকাশ করা হবে। এ বারই প্রথম ইনভিজিলেটরদের জন্যও নিয়মাবলি পুস্তক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশ্নপত্র পুলিশের উপস্থিতিতে ‘কাস্টডিয়ান’-এর কাছে পৌঁছে যাবে। প্রশ্নপত্র ‘সর্টিং’ করে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব ঠিক আছে কি না, জানাতে হবে সংসদকে।
অন্য বছর প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার দিন সংসদই ঠিক করে দিত। এ বছর তা করা হয়নি। জানানো হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্কুল সুবিধা মতো প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিতে পারবে। পরীক্ষার খাতা ও রেজাল্ট জমা দিতে হবে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। কর্মশালার পরে ড্যাকের সদস্যদের সঙ্গে সংসদ সভাপতির বৈঠক হয়। ড্যাকের সদস্য প্রলয় নায়েক বলেন, ‘‘গত বছরও জেলায় সুষ্ঠু ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক হয়। এ বছরও হবে আশা রাখছি। আরও কর্মশালা এবং বৈঠক করার কথা ভাবছি।’’