Drowned

Drwoned: স্নান করতে নেমে মৃত তিন বালক

তিন জনকে উদ্ধার করে বাঘমুণ্ডির পাথরডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষার পরে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

এই পুকুরেই দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।

পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত্যু হল তিন বালকের। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির জিলিং গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সফিক মোমিন (১২), আমানুল মোমিন (১২) ও সাহিদ মোমিন (১১)-এর বাড়ি জিলিং গ্রামের মোমিনপাড়ায়। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

Advertisement

মৃতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও সকালে গ্রাম লাগোয়া পুকুরে তিন বন্ধু স্নান করতে গিয়েছিল। সে সময়ে পুকুরপাড়ে নিজের খেতে কাজ করছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা লালা গোপ। তাঁর কথায়, “ওই তিন জনকে পুকুরে নামতে দেখেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে পুকুর থেকে এক মহিলার চিৎকার শুনতে পাই। তিনিও ওই পুকুরে স্নান করছিলেন। তাঁর মুখে শুনি, ওই তিন জনকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। খারাপ কিছু ঘটেছে আন্দাজ করে চিৎকার শুরু করি। আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে সবাই মিলে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিছু পরে, একে একে তিন জনকে উদ্ধার করা হয়।”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। তিন জনকে উদ্ধার করে বাঘমুণ্ডির পাথরডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষার পরে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পুরুলিয়ায় পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন মোমিনপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, এলাকা কার্যত শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কান্নায় রোল উঠেছে মৃতদের বাড়িতে। অনেক কষ্টে সফিকের বাবা গুলজার মোমিন বলেন, “বাড়ির কাছেই কাজ করছিলাম। ছেলে কখন পুকুরে গিয়েছে, খেয়াল করিনি। রোজই তো যায়। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।” বিডিও (বাঘমুণ্ডি) দেবরাজ ঘোষ বলেন, “নববর্ষের দিনে এমন মর্মান্তিক কিছু ঘটবে, ভাবিনি। পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা রইল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement