চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই সেখানে আবাসিক পড়ুয়াদের থাকার কথা। তার আগেই চুরির ঘটনা ঘটল বিশ্বভারতীর নবনির্মিত ছাত্রাবাসে। শনিবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হতেই ফের বেরিয়ে পড়েছে বিশ্বভারতীর বেহাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার ছবিটি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালক অমিত হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘ঠিক কী কী চুরি গিয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। নিরাপত্তা বিভাগকে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বছর খানেক ধরেই শ্রীনিকেতনে বিডিও অফিসের পিছনে চিপকুঠি লাগোয়া এলাকায় তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতীর একটি নতুন ছাত্রাবাস। সেখানে প্রায় ৫০০ পড়ুয়ার থাকার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এ বার থেকেই পড়ুয়াদের থাকার কথা। ওই ছাত্রাবাসে জলের কল, বিদ্যুতের লাইট, ফ্যান, চেয়ার টেবিল-সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে ওই ছাত্রাবাসে। সেখান থেকেই জলের কল, বিদ্যুতের উপকরণ-সহ নানা সামগ্রী চুরি গিয়েছে। জানা গিয়েছে, লাগোয়া খাসপাড়া এলাকার বাসিন্দারা ছাত্রাবাস চত্বরে থাকা একটি রাস্তা চলাচলের জন্য ব্যবহার করেন। ফলে ছাত্রাবাসের সামনে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকেলও পিছনের খোলা অংশটি কার্যত অরক্ষিত অবস্থাতেই পড়ে থাকে। এ দিনের চুরির নেপথ্যে ওই রাস্তার ভূমিকার কথাই উঠে এসেছে।
বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ যদিও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য একটি বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর খোলা অংশটিও দ্রুত ঘিরে ফেলা হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ারা ভাল ভাবেই নবনির্মিত ওই ছাত্রাবাসে থাকতে পারবেন বলেই ওই আধিকারিকদের দাবি। যদিও কবে সেই কাজ শেষ হবে, তার স্পষ্ট কোনও জবাব এ দিন মেলেনি। অন্য দিকে, বিশ্বভারতীর নিরাপত্তার ফাঁক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কেবল বলেন, “সবিস্তারে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”