সভায়: নলহাটিতে শনিবার। নিজস্ব চিত্র
এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মোদী ও মমতার বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনের ডাক দিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। শনিবার নলহাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুল মাঠে এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-র বিরোধী আন্দোলনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ সভা ডাক দিয়েছিল। সেখানে হাজার পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থকের সামনে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ-সহ অন্য নেতৃত্ব।
বক্তৃতায় মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন সংবিধান থেকে আসে। সংবিধানের প্রথম লাইনটা হচ্ছে আমরা এ দেশের জনগণ। সুতরাং এটা কোনও একটা ভাষার না, এটা কোনও একটা প্রদেশের না, এটা একটা কোনও একটা ধর্মের না, এটা কোনও একটা জাতি বা দলের না, দেশের ১৩৫ কোটি মানুষের কথা। কারণ নাগরিকত্ব আইন সংবিধান থেকে আসে।’’
বিজেপি ও তৃণমূল, দু’দলকেই আক্রমণ করেন সেলিম। দু’পক্ষের মধ্যে ‘সেটিং’-এর অভিযোগ তোলেন তিনি। সেলিম বলেন, ‘‘ওরা মনে করছে প্রধানমন্ত্রী শেষ কথা বলবে, তৃণমূল মনে করছে মুখ্যমন্ত্রী শেষ কথা বলবে। আর কিছু লোক মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী লড়াই হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর লড়াই হচ্ছে। আমরা বলি প্রধান মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর লড়াই না, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই না। আসলে ওদের নাটক হচ্ছে। ওদের সেটিং চলছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সিএএ আইন সংসদে পাশ হল। তখন এ রাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী তৃণমূল সাংসদরা কী করছিলেন? তৃণমূলের সাংসদরা হাজির হলেন না।’’
একই কথা বলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, ‘‘মোদী আর মমতার ‘সেটিং’-এর কথা আজকে রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছে। তাই কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের ঐক্যবদ্ধ লড়াই মোদী ও মমতা কে পরাস্ত করবে।’’