পরীক্ষার্থী আয়েষা। নিজস্ব চিত্র
ভুল পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া এক টেট পরীক্ষার্থীকে নিজের গাড়িতে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবুদ্দিন খান।
প্রথম বার টেট দিতে বেরিয়েছিলেন বাঁকুড়ার জয়পুর মুরালিগঞ্জের আয়েষা খাতুন। তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল পাত্রসায়র কলেজ। কিন্তু রবিবার পরীক্ষার উৎকন্ঠায় ভুল করে সোনামুখী কলেজে চলে যান তিনি। পরীক্ষা কেন্দ্রের দরজায় পৌঁছে অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে বুঝতে পারেন বড় ভুল করে ফেলেছেন। এ দিকে সময় এগিয়ে যাচ্ছিল। বেরিয়ে এসে মূল রাস্তায় তাঁর স্বামী মনিরুল শা-এর খোঁজ করছিলেন তিনি।
সেই সময় ওই কেন্দ্রের কাছেই ছিলেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও। ওই পরীক্ষার্থীকে ভয়ার্ত মুখে ঘুরে বেড়াতে দেখে তিনি এগিয়ে যান। এসডিপিও বলেন, ‘‘এক পরীক্ষার্থীকে ইতস্তত ভাবে কাউকে খোঁজাখুঁজি করতে দেখে তাঁর কাছে এগিয়ে যাই। আয়েষা জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে খুঁজছেন। কারণ তিনি ভুল করে সোনামুখী কলেজে চলে এসেছেন। এখনই তাঁর পাত্রসায়র কলেজে পৌঁছনো দরকার। তাঁদের সঙ্গে কোনও গাড়ি ছিল না। সময় এগিয়ে আসছিল। তাই দেরি না করে আয়েষা ও তাঁর স্বামীকে আমার গাড়িতেই পাত্রসায়র কলেজে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।’’
আয়েষার স্বামী মনিরুল জানান, জয়পুর থেকে একটি ভাড়াগাড়িতে আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁরা সোনামুখী হয়ে পাত্রসায়রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী অ্যাডমিট কার্ড বেশ কিছুদিন আগে দেখলেও এ দিন ভুল করে সোনামুখীতে নেমে পড়েন। মনিরুল বলেন, ‘‘স্ত্রী যখন ভুল বুঝতে পারে, তখন আমাদের গাড়িটি পাত্রসায়রে পৌঁছে গিয়েছিল। তখন সাড়ে ১০টা বেজে গিয়েছে। এসডিপিও স্যার এগিয়ে এসে সাহায্য না করলে ভীষণ সমস্যায় পড়ে যেতাম। পুলিশকে ধন্যবাদ।’’
অন্য দিকে ছাতনার চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ের বদলে এক পরীক্ষার্থী চলে গিয়েছিলেন ছাতনার চণ্ডীদাস হাইস্কুলে। সেখানে গিয়ে তাঁর ভুল ভাঙে। ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসতেই ছাতনা থানার পুলিশ আধিকারিক রাজীব রায়ের নির্দেশে এক সিভিক ভলান্টিয়ার মোটরবাইকে ওই পরীক্ষার্থীকে ছাতনা কলেজে পৌঁছে দেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে কিছুটা দেরিতে পৌঁছলেও পরীক্ষায় বসতে তাঁর অসুবিধা হয়নি।