মেলায় লাইন দিয়েছেন মহিলারা টাকা জমা দেওয়ার জন্য। নিজস্ব চিত্র।
৯০০ টাকা জমা করলেই দশ হাজার!
কোনও অর্থলগ্নি সংস্থার বিজ্ঞাপন নয়। ভুঁইফোড় সংস্থার প্রচারও নয়। প্রশাসন থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য বসেছে মেলা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘৯০০-র মেলা’।
মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ‘নির্মল বীরভূম’ গড়তে রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এ কাজে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির কুশুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতকে মডেল করা হয়েছে। এই গ্রামেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি। সোমবার থেকে এই কুশুম্বার ১৬টি সংসদে সপ্তাহব্যাপী মেলাও বসেছে।
রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস জানান, নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্প সামগ্রিক ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রথম পর্যায়ে সক্রিয় করা হচ্ছে। কেননা, ওই মহিলাদের একাংশের বাড়িতেও শৌচালয় নেই এমনটা দেখা গিয়েছে। এই কর্মসূচিতে তাঁদের সামিল করতে পারলে পড়ুয়া, অভিভাবকদের সহজে বোঝানো সম্ভব হবে। একই ভাবে যুবশ্রী প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদেরও এই কর্মসূচিতে সামিল করানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। উদ্দেশ্য সফল করতে রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও নীতিশ বালা ইতিমধ্যে গোষ্ঠীর সমস্ত মহিলাদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন।
সে কাজটাই আরও ভাল ভাবে করতে মেলার পরিকল্পনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, আপাতত কুশুম্বা পঞ্চায়েতের প্রতি সংসদে এক দিন করে মেলা চলছে। ওই মেলা থেকেই শৌচালয়বিহীন পরিবারের তালিকাভুক্তদের ৯০০ টাকা নিয়ে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়া সে টাকা দেওয়া হচ্ছে নগদেও। পরে দেওয়া হবে শৌচালয় তৈরির কারিগরি সহায়তাও।
আরও পড়ুন:
টাকা নিয়ে বচসাতেই ‘খুন’ রোশন: পুলিশ
বুধবার কুশুম্বা গ্রামে গিয়ে এমনই শিবির দেখা গেল। এ দিনের শিবিরে প্রায় ১০০ জন শৌচালয় তৈরির জন্য ৯০০ টাকা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। শিবির থেকেই দেওয়া হয় বাকি ১০ হাজার টাকা। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধৃতিমান সরকার, রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও নীতিশ বালা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পম্পা মুখোপাধ্যায়, সহ সভাধিপতি রাখী লেট-সহ অনেকেই।
পম্পাদেবী জানান, কুশুম্বায় ৪২টি স্বনির্ভর দল আছে। তার অনেক সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের ঘরে শৌচালয় নেই। তাঁর কথায়, ‘‘এমন মেলার মাধ্যমে সেই ঘাটতি সহজে পূরণ করা যাবে।’’