পাঁচন তরজায় তাতছে বীরভূম

রবিবার রামপুরহাট মহকুমার দুই প্রান্তে সভা করে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি। মুরারইয়ের সভায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আবারও বিরোধীদের হুমকি দিয়ে পাঁচনের প্রসঙ্গ তোলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মল্লারপুর ও মুরারই শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০০
Share:

মুরারইয়ে তৃণমূলের সভা।

‘পাঁচন’-এর পাল্টা এ বার ‘লাদনা’। হুমকি, পাল্টা হুমকিতে ফের তাততে শুরু করেছে বীরভূমের রাজনীতি।

Advertisement

রবিবার রামপুরহাট মহকুমার দুই প্রান্তে সভা করে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি। মুরারইয়ের সভায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আবারও বিরোধীদের হুমকি দিয়ে পাঁচনের প্রসঙ্গ তোলেন। অন্য দিকে, মল্লারপুরের শিববাড়ির মাঠে বিজেপি নেতৃত্ব তার জবাবে পাঁচনের বদলে লাদনা (পাঁচনের তুলনায় মোটা লাঠি) দিয়ে উর্বর জমির ফসল ভাঙার হুঁশিয়ারি দেন। দুই দলেরই দাবি, তাদের সভায় ১৫ হাজারের বেশি লোক হয়েছিল। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, মল্লারপুরে বিজেপির সভায় হাজার দু’য়েক লোক হয়েছিল। তবে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মল্লারপুরের সভায় হাজার ছয়েক লোক হয়েছিল। তবে দু’দলেরই সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি জয় পেয়েছে মল্লারপুর ১ ও গণপুর পঞ্চায়েতে। এ দিনের সভার জন্য ওই দুই পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী শিববাড়ির মাঠ বাছা হয়েছিল। সেখানকার ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, যে ভাবে এই দুই পঞ্চায়েতে দল ভাল ফল করে দেখিয়ে দিয়েছে সেটা জেলার অন্য কর্মীদের কাছে দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত। এ দিনের সভামঞ্চে বিজেপির প্রাক্তন এবং বর্তমান নেতৃত্বের সমন্বয়ও দেখা গিয়েছে। মঞ্চে ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, বর্তমান জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামাপদ মণ্ডল, নির্মল কর্মকার, বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব ভৌমিক সহ অন্য নেতৃত্ব।

Advertisement

মল্লারপুরে বিজেপির সভা। রবিবার।

সভায় উপস্থিত বিজেপি নেতারা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেছেন। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগও। অনুব্রতর পাঁচন বচনের পাল্টা জবাবে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডলের হুঁশিয়ারি, ‘‘উনি বলছেন উর্বর জমিতে পাঁচন দিতে হবে। আর আমরা বলছি, উর্বর জমিতে আমরাই ফসল ফলাব। সেই ফসল লাদনা দিয়ে ভাঙব।’’

পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও সরব হন বিজেপি নেতারা। নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। পুলিশ, প্রশাসনের কেউই সে কথা মানতে চাননি। এক নেতার কথায়, ‘‘বিজেপি কর্মীদের কোথাও গাঁজা, কোথাও মদের মামলায় ইচ্ছে করে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে এবং গণতন্ত্র বাঁচাতে রথযাত্রা হবেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে সিবিআই তদন্তও চলবে।’’ মুরারইয়ের সভা থেকে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, ‘‘ব্রিগেডের সভা শেষ হওয়ার পরে উর্বর জমিতে পাঁচনের বাড়িতে ও সব ঠিক করে দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement