কাশীপুরের হাটতলা মোড়ের সভায়। ছবি: সঙ্গীত নাগ।
গণনায় কারচুপি করে তৃণমূল পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ক্ষমতায় এসেছে বলে কাশীপুরের সভা থেকে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসে পুরুলিয়ায় সভা করতে আসতে পারেন। এ দিন কাশীপুরের হাটতলা মোড়ের ওই সভার মঞ্চ থেকে তা নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি তো ভিতরের খবর জানতাম, মধ্যরাতে গণনায় বেআইনি ভাবে পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল বলে চালানো হয়েছে। বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আপনাদের জেলা পরিষদ কিন্তু বিজেপি দখল করেছিল, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। গত লোকসভা নির্বাচনে আপনারা হাফ করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সিট। বিধানসভা নির্বাচনে সাফ করতে হবে তৃণমূলকে।’’
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূল নয়, পরিচালনা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তত্ত্বাবধানেই গণনা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।’’ তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভার প্রেক্ষাপট আলাদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে মানুষ উন্নয়ন দেখেছেন। বিজেপির নেতারা ভোটে জেতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন।’’
মকর পরবের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ায় সভা করতে আসতে পারেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘টিএমসি কোম্পানির মালিক আসছেন। মোদীজির স্কিমগুলো নিজের নামে চালাবেন। হয়তো বলবেন, কোভিড ভ্যাক্সিন তোমাদের বিনামূল্যে দিয়ে গেলাম। আমরা পরে সভা করে মিথ্যাশ্রী-কুৎসাশ্রীর জবাব দেব।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, জঙ্গলমহলে অলচিকি লিপিতে সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠন শুরু করার কথা রাজ্য সরকার বললেও সিলেবাস তৈরি হয়নি, বই দেওয়া হয়নি, শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে কেউ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আয়ুস্মান কার্ডে দেশের বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন।’’
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি গুরুপদ টুডুর বক্তব্য, ‘‘উনি এখন বিজেপিতে ঢুকে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। এত দিন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘ দিন জঙ্গলমহলেরর দায়িত্বে ছিলেন। এখন কী ভাবে পঠনপাঠন হচ্ছে, আর আগে কী ছিল, সেটা জেনেও না জানার ভান করছেন।’’ ‘স্বাস্থ্যসাথী’র সাফল্যে চিন্তিত হয়ে বিজেপির নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার করছেন বলেও দাবি করেন গুরুপদবাবু।