Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক

কয়েক সপ্তাহ আগে ওন্দার চূড়ামণিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা তপন ঘোষকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ওন্দা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরে ঘটনায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে মঙ্গলবার ওন্দায় শুভেন্দুর মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

কয়েক সপ্তাহ আগে ওন্দার চূড়ামণিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা তপন ঘোষকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় স্থানীয় থানায়। শুভেন্দু এ দিন দাবি করেন, “তপনবাবুকে যাঁরা মারধর করেছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে পুলিশ মন্ত্রী, সেখানে আমাদের লোকেরা মার খাবে আর পুলিশ অভিযুক্তদের ধরবে না, এটা হতে পারে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অভিযোগ না তুলতে না হয়, যে আমাদের কর্মীকে মেরে লোকজন এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে!”

যদিও পুলিশের দাবি, তপনবাবুকে মারধরে অভিযুক্ত ন’জনের মধ্যে পাঁচ জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা বিচারাধীন বন্দি। জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “কিছু অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। ঘটনার
তদন্ত চলছে।”

Advertisement

শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অমরনাথ শাখার দাবি, “ওই ব্যক্তি জনরোষের শিকার হয়েছিলেন। তবে প্রকাশ্য মঞ্চে শুভেন্দুবাবু পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন পুলিশকে কতটা চাপে রেখে ব্যবহার করে তৃণমূল।” ওন্দার তৃণমূল বিধায়ক অরূপবাবুর পাল্টা দাবি, “পুলিশ ও প্রশাসনের কাজে তৃণমূল হস্তক্ষেপ করে না। শুভেন্দু কেবল ঘটনার খোঁজ নিচ্ছিলেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement