ঝাঁপ বন্ধ এটিএমের। মহম্মদবাজারে শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ভোগান্তি আরও বাড়ল। শুক্রবার যদিও জেলা সদরের কিছু এটিএম থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু শনিবার শহরের অধিকাংশ এটিএমের টাকা শেষ। ফলে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এ দিন সকাল থেকেই জেলা সদরের অধিকাংশ এটিএমের শাটার বন্ধ ছিল। যেগুলি খোলা ছিল, তাতেও টাকা ছিল না বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ফলে, টাকা তুলতে এসেও হতাশ হয়ে ফিরেছেন অনেকে। সিউড়ির বাসিন্দা নীলাঞ্জন দাস, মহান দাস বলেন, ‘‘কিছু জিনিস কেনার জন্য টাকা তুলব ভেবে এ দিন এটিএমে এসেছিলাম। কিন্তু, বেশ কয়েকটা এটিএম ঘুরেও টাকা পেলাম না।’’ দুই দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে খুচরো ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হয়েছে বেশি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তারা। অনলাইনেও ব্যাঙ্কে টাকা লেনদেন সম্ভব হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
ব্যাঙ্ককর্মীদের থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার শেষবারের মতো এটিএমে টাকা ভরা হয়েছিল। ফলে সেই টাকা ফুরিয়ে আসবে সেটা খুবই স্বাভাবিক। অনেক ব্যাঙ্কই টাকা না থাকার কারণে এটিএমের শাটার নামিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর জন্য ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল।
শুক্র ও শনিবারও ধর্মঘটের কারণে ব্যাঙ্ক বন্ধ। ফলে এই তিন দিনই এটিএমে টাকাই ভরা সম্ভব হয়নি। যদি রবিবার বিশেষ ব্যবস্থা করে এটিএমে টাকা ভরা সম্ভব হয়, তাহলে সে দিন থেকে গ্রাহকদের কিছুটা সুরাহা হবে। না হলে, পরিস্থিতি যা, তাতে সোমবারের আগে এই দুর্ভোগ কমার আশা বিশেষ নেই। গ্রাহকদের ক্ষোভ, এটিএম ও ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ থাকলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদেরই।