visva bharati centenary

Visva-Bharati University: পরীক্ষার দিন কেন এগোল, ক্ষোভ চলছে বিশ্বভারতীতে

শিক্ষাভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পড়ুয়াদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৩
Share:

ক্লাস বয়কট। নিজস্ব চিত্র।

পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও শিক্ষাভবনের মূল দরজায় পোস্টার লাগিয়ে ক্লাস বয়কটের ডাক দেন ছাত্রছাত্রীরা। এ দিন অধ্যাপক, গবেষক ও বিভাগের কর্মীদের ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও তাঁদের দাবি মানা না-হলে সোমবার থেকে শিক্ষাভবনের সমস্ত রকম কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। এ দিন শিক্ষাভবনের বেশ কিছু বিভাগে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থাকলেও পড়ুয়াদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল হয়ে যায় বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল নির্দেশিকা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়, আগামী ১২ মে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের অন্তিম সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। অথচ, এর আগে পর্যন্ত তাঁদের মৌখিক ভাবে জুন-জুলাই মাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বলে দাবি পড়ুয়াদের। অধিকাংশ বিভাগেই এখনও পর্যন্ত পাঠ্যক্রম অর্ধেকও পড়ানো হয়নি বলেও তাঁদের দাবি। ফলে, এ ভাবে পরীক্ষার সময় এগিয়ে দিলে সমস্যা হবে, সেই কথা জানিয়ে পড়ুয়ারা পৃথক ভাবে নিজেদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। বিক্ষোভকারী এক ছাত্র বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে আসতে না-চাইলেও অধিকাংশ অধ্যাপকই আমাদের দাবিকে সমর্থন করছেন। এমনকি তাঁরাও অধ্যক্ষের মারফত উপাচার্যের কাছে পরীক্ষার সূচি পিছোনের আবেদন করেছেন।’’
কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবির বিষয়ে নীরব বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ পড়ুয়াদের। তাঁদের এক জন বলেন, “স্নাতকোত্তরের প্রথম দেড় বছর তো অনলাইন পড়াশোনার সময় প্র‍্যাক্টিক্যাল কিছুই শিখতে পারিনি। এই শেষ সিমেস্টারে সেই সুযোগটুকু ছিল। এখন মাত্র এক মাস পড়িয়েই পরীক্ষা নিলে হয়তো আমরা পাশ করে যাব, কিন্তু গোটা স্নাতকোত্তর স্তরেই আমরা কিছু শিখতে পারব না।” বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পঠন-পাঠন বন্ধ করতে চাইছেন না। তাঁরা শুধু চান, কর্তৃপক্ষ সহানুভূতির সঙ্গে অসুবিধাগুলি বোঝার চেষ্টা করুন।

শিক্ষাভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পড়ুয়াদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement