স্থায়ী করার ছাড়াও নানা দাবিতে একদিনের প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করলেন নলহাটি পুরসভার ১১০ জন অস্থায়ী কর্মী। মূলত পুরসভা এলাকায় সাফাই, ঝাড়ু দেওয়া এবং অস্থায়ী ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়ে পানীয় জল বণ্টনের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মীরা। কেবল পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই কর্মীরা আর কোনও কাজ করেননি। কর্মীদের ওই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হয়েছে এলাকার পুর পরিষেবা, এমন অভিযোগ করেছেন খোদ পুরপ্রধান। যদিও নিজেদের স্থায়ীকরণ ও বেতনবৃদ্ধির দাবিতে অটল থেকে এ দিন সকাল থেকে প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি দুপুরে ওই কর্মীরা রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়ে এসেছেন।
এ দিন এসডিও-কে স্মারকলিপি দিতে আসা ‘নলহাটি মিউনিসিপ্যালটি সুইপার্স ইউনিয়ন’ নামে এআইটিইউসি প্রভাবিত ওই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের অভিযোগ, ‘‘আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে, যাঁরা এই পুরসভার জন্মলগ্ন থেকেই ওই কাজে যুক্ত আছেন। কিন্তু, এত দিন পরেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। আবার পুরসভায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এমন নয় কর্মীকে প্রতি মাসে মাত্র ৫,৬৬০ টাকাও দেওয়া হচ্ছে। একই ভাবে ১০ বছরের কম দিন ধরে কাজ করছেন এমন ৪১ জন কর্মী ৪,২০০ টাকা, বারো জন ট্রাক্টর লেবার ৫,১০০ টাকা এবং বাকিরা মাত্র তিন হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন।’’ তাঁর দাবি, ২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার অস্থায়ী কর্মীদের মাসে ৬,৬০০ টাকা বেতন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও নলহাটি পুরসভা সেই সিদ্ধান্ত আজও কার্যকর করেনি। অথচ অন্য পুরসভায় অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রাপ্য দাবি মেটানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ দিনের এই কর্মসূচি বলে তিনি জানিয়েছেন।
দাবি প্রসঙ্গে রামপুরহাটের এসডিও সুপ্রিয় দাস জানান, দাবিগুলির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করা হবে। তবে, নলহাটির তৃণমূল পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘পুরকর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে পুর দফতরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। দরকার পড়লে আবার পাঠাবো। কিন্তু, পুরপরিষেবা বন্ধ রেখে ওই কর্মীদের স্মারকলিপি দিতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি।’’