n সিউড়িতে সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে। ওই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না ঘোষণা করলেও সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। এরই মধ্যে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধন্দ আরও বাড়ল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্যে।
আগামী সোমবার ভারত বন্ধের সমর্থনে শনিবার সিউড়িতে একটি মিছিল করে সিপিএম। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্তবাবু। আসন্ন পুরভোটে বাম ও কংগ্রেস পৃথক ভাবে লড়াই করবে কি না, তা সংবাদমাধ্যম জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম যে সংযুক্ত মোর্চা গড়ে উঠেছে, সেটাকে আমরা ভাঙতে চাই না। তার পরেও কেউ যদি বেরিয়ে যাবেন তো বেরিয়ে যাবেন। আইএসএফ আছে আমি জানি। কারণ আজই ওদের একটা সভা আছে ধর্মঘটের সমর্থনে। আমাকে চিঠি লিখেছিল কাউকে পাঠানোর জন্য।’’ এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
এ দিন সকালে সিউড়ি চাঁদমারি মাঠের কাছে থেকে সিপিএমের মিছিল শুরু হয় এবং পোস্ট অফিস মোড়ের কাছে শেষ হয়। যদিও সূর্যকান্তবাবু প্রশাসন ভবন মোড় পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান। তার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই আসন্ন পুরভোটে বাম ও কংগ্রেসের জোট প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেন। কংগ্রেস ভাঙন প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘ভাঙছে, সেটা আলাদা ব্যাপার। ওরা সব জায়গায় টাকা পয়সা দিয়ে ভাঙছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কংগ্রেস ভাঙছে আর তৃণমূল কি এখানে ভাঙেনি? বিজেপি বিরোধী দল থেকে লোক ভাঙায়নি?’’
ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং দু’টি কেন্দ্রে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো সরকার গড়তে যাচ্ছি না। আমরা চাই বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে। এক জনও প্রতিনিধি নেই। আমরা চাই এক জন বামপন্থীদের মুখপাত্র। যাতে বিধানসভায় কথা বলতে পারেন।’’ গত ক’দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। এর জন্য কে দায়ী সেটা ঠিক করতে হবে। ওরা (সরকার) বলছে এটা পুরসভা দেখে।’’ এ সবই দায় এড়ানোর চেষ্টা দাবি করে সূর্যবাবুর মন্তব্য, ‘‘কিন্তু সরকার কি দায় এড়াতে পারে? যা রাজ্যে হচ্ছে, তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’’