Suri

মুচলেকা দিয়ে দলবদল, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি, সমাজমাধ্যমে ছড়াল চিঠির ছবি

ওই চিঠি লালুরই লেখা কি না, তা আনন্দবাজার যাচাই করেনি। লালুর সঙ্গে এ দিন অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫২
Share:

একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূলের চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রতীকী চিত্র।

তাঁকে ‘দণ্ডি’ কাটতে হয়নি ঠিকই। তবে, মুখের কথাতেও কাজ হয়নি। মুচলেকা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে হয়েছে লালু দাসকে বলে অভিযোগ উঠেছে সিউড়ির উপকণ্ঠ কড়িধ্যা এলাকায়। এই নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের চাপানউতোর শুরু হয়েছে

Advertisement

সোমবার সমাজমাধ্যমে একটি চিঠির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, কড়িধ্যার বাসিন্দা লালু লিখেছেন, বিজেপির কিছু নেতার ‘প্ররোচনায়’ তিনি ‘ভুল পথে’ চালিত হয়েছিলেন, কিন্তু এখন নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিবেকানন্দ সাহার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। চিঠির শেষে আলাদা করে স্থানীয় দুই বিজেপি নেতা প্রেমানন্দ সাহা ও মিনতি রায়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই চিঠি লালুরই লেখা কি না, তা আনন্দবাজার যাচাই করেনি। লালুর সঙ্গে এ দিন অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালু কড়িধ্যা অঞ্চলেই একটি ছোট সাইকেল সারানোর দোকান চালান। রামনবমীর দিন কড়িধ্যায় দু’টি বড় মিছিলের আয়োজন হয়েছিল, একটির আয়োজক ছিল কড়িধ্যা নাগরিক বৃন্দ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। অন্যটির আয়োজক ছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, লালু ওই দিন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিলে হেঁটে ছিলেন। বিজেপির দাবি, এর পর থেকেই লালুর উপরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে তৃণমূল।

যদিও লালু তাদের সদস্য ছিল বলে মানতে রাজি নয় বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর গড়াই বলেন, “লালু তৃণমূলই করতেম। কোনও দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তবে দেশ জুড়ে বিজেপির উন্নয়ন দেখে লালু আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতেন। রামনবমীর মিছিলেও হেঁটেছিলেন।’’ তাঁর অভিযোগ, সে কারণেই লালুকে হয়তো প্রাণের ভয় দেখিয়ে বা দোকান ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।

যদিও বিজেপির দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা, বিবেকানন্দ সাহা (চিঠিতে যাঁর নাম রয়েছে) বলেন, “প্রেমানন্দ আমার নিজেরই ভাই। তৃণমূলের থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে সে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। ভুল বুঝিয়ে লালুকেও বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, লালু ফিরে এসেছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা কাউকে ভয় দেখিয়ে দলে নিয়ে আসি না। রাজ্যের মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন কে করছে, তা বুঝতে পেরেই লালু তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement