প্রথম দিন বৃহস্পতিবার, জমজমাট বিষনুপুর মেলা রাতে।
কুটির শিল্পের প্রসারে বিষ্ণুপুর মেলা হলেও বরাবর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেয়ে আসছে বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত। আগে পাঁচ দিনের মেলার একটি রাত বরাদ্দ ছিল শুধু বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীতের জন্য। তখন ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, গুরুপ্রসাদ সরকার, অহিদাস চক্রবর্তী প্রমুখ শিল্পীরা মাতিয়ে রাখতেন মঞ্চ। পরবর্তী সময়েও বিষ্ণুপুর ঘরনার গান মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জায়গা করে রেখেছে। প্রায় প্রতিবার বিষ্ণুপুর মেলায় উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছেন বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কয়েক বছর আগে বিষ্ণুপুর ঘরানার ১০ জন সঙ্গীতশিল্পীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে মেলার মাঠে প্রদর্শন করা হয়েছিল।
তবে সব ধরনের গান ও যন্ত্রসঙ্গীতের এখানে সমাদর করা হয়। শুরু থেকে বেশ কয়েক বছর যদুভট্ট মঞ্চ কাঁপিয়ে রেখেছিলেন মণিলাল নাগ, ওস্তাদ আমজাদ আলি খান, ওস্তাদ আশিস খান, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ভূপেন হাজারিকা, সুরসম্রাট ভি বালসারা, সুচিত্রা মিত্রেরা।
আধুনীক গান গেয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী, অমিত কুমার, কুমার শানু, অনুরাধা পাড়োয়াল, অনুপ ঘোষাল, হৈমন্তী শুক্লা, সৈকত মিত্র, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেছেন সংযুক্তা পানিগ্রাহী, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো শিল্পী। অন্য প্রদেশের শিল্পীরাও নিজেদের সংস্কৃতি এখানে তুলে ধরেছেন।
তবে বিষ্ণুপুরের মেলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে হলে জাতীয় শিল্পীদের আরও অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। তবে দিন দিন মেলার আরও বিস্তার ঘটছে। এখন আর বিষ্ণুপুরের মধ্যেই মেলা সীমাবদ্ধ নেই। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরাও এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন।