বরাবাজারে ধৃত ছেলে

তরোয়ালের কোপ মা-কে

তরোয়ালের কোপে মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল ভারসাম্যহীন ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বরাবাজার থানার বামু গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহত ফুলি মাহাতোর (৫৫) বাড়ি ওই গ্রামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বরাবাজার শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০১
Share:

তরোয়ালের কোপে মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল ভারসাম্যহীন ছেলে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় বরাবাজার থানার বামু গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহত ফুলি মাহাতোর (৫৫) বাড়ি ওই গ্রামেই। নিহতের দেওরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত নারায়ণ মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

বামু গ্রামের বাসিন্দা ভুডু মাহাতো তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ভাইপো নারায়ণ দিনভর পুজো আচ্চা নিয়ে সময় কাটাত। বাড়ির কোনও কাজকর্ম করত না। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার পুজোর স্থানে কেন প্রণাম করবে না, এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা হয়। তখন হঠাৎ-ই বাড়িতে রাখা তরোয়াল নিয়ে নারায়ণ মা-কে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। বৌদির আর্তনাদ শুনে পড়শিরা ছুটে এলেও হাতে তরোয়াল দেখে প্রথমে কেউ এগোতে সাহস পাননি। পরে পিছন দিক থেকে ওই যুবককে জাপটে ধরে ফেলেন পড়শিরা। রক্তাক্ত ফুলিদেবীকে বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। বরাবাজারের বামুনডিহা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন নারায়ণের দাদা হারাধন মাহাতো। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘ভাই একটু বিকারগ্রস্ত ছিল। তাই বলে মা-কে এ ভাবে কুপিয়ে খুন করবে, ভাবতে পারিনি।’’

Advertisement

পড়শিদের একাংশের দাবি, নারায়ণ সারাদিন পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকত। দেবতাদের সঙ্গে তার কথা হয়, এমন উদ্ভট দাবিও জানাতো। অন্যদের দেখলেই মাদুলি, কবজ নেওয়ার কথা বলত। তার বিয়ে কেন দেওয়া হচ্ছে না, এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া করত নারায়ণ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, নারায়ণ মাঝে মধ্যে উন্মত্ত আচরণে করত। তখন কেউ তার ধারে ঘেঁষত না। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ওই সময় মা এবং ছেলে ছাড়া কেউ ছিলেন না। ফুলিদেবীর আর্তনাদ শুনে সবাই গিয়ে দেখেন এই কাণ্ড। ঘটনার পরে পুলিশ তরোয়ালটিকে উদ্ধার করেছে।

ভাইয়ের চিকিৎসা করাননি কেন? হারাধনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের তেমন আর্থিক সঙ্গতি নেই। তা ছাড়া আমি বেশ কয়েক বছর ধরে অন্য গ্রামে রয়েছি।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement