আগুনে পুড়ে গেল ছ’টি বাড়ি

আগুনে ক্ষতির ঘটনা লেগেই রইল। শনিবার দুই জেলায় আগুনে পুড়ে গেল ছ’টি বাড়ি। এ দিন দুপুরে আড়শা থানার পাতুয়াড়া গ্রামে আগুন লেগে চারটি বাড়ি পুড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আড়শা ও ইঁদপুর শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৬
Share:

কিছু কি রক্ষা পেল? ইঁদপুরের মুক্তিডিহি গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র।

আগুনে ক্ষতির ঘটনা লেগেই রইল। শনিবার দুই জেলায় আগুনে পুড়ে গেল ছ’টি বাড়ি। এ দিন দুপুরে আড়শা থানার পাতুয়াড়া গ্রামে আগুন লেগে চারটি বাড়ি পুড়ে যায়। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে একটি কাঁচা বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাড়িগুলিতেও। খবর পেয়ে পুরুলিয়া থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

অন্যদিকে, এ দিন দুপুরেই হুড়া থানা এলাকার তিলাগোড়া গ্রামে একটি কাঁচা বাড়িতেও আগুন লাগে। পুরুলিয়া থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার বিকেলে ইঁদপুর থানার মুক্তিডিহি গ্রামে গৌর বাউরির খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে খাতড়া থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গ্রামে যায়। দমকলকর্মীদের টানা ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নেভে।

Advertisement

গৌরবাবু বলেন, “হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল। কী ভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারিনি। মুহূর্তের মধ্যে গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’’ তাঁর দাবি, বাড়িতে রাখা ধান, চাল, আসবাবপত্র, নগদ টাকা— সমস্ত কিছু আগুনে পুড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রান্নাঘরের উনুন থেকেই আগুন বাড়িতে আগুন লাগে।

পুরুলিয়া দমকলের ওসি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সচেতনতার অভাবেই বেশির ভাগ আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে শুকনো গরমে এবং লু বওয়ায় আগুন লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণ মানুষ একটু সচেতন হলেই অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে তাঁর মত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement