বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবারও অবস্থানে বসলো বিশ্বভারতীর দুটি বিভাগের নির্যাতিতা পড়ুয়ারা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিশ্বভারতীর দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার অনশনে বসলেন অভিযোগকারিণী সাত ছাত্রী। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যদিও বলেন, “ওই অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন।” কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তিনি ভেঙে বলেননি।
ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, ২০১৮-’১৯ সাল থেকে দুই বিভাগের দুই অধ্যাপক বিভাগের গবেষণারত এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে জনা সাতেক ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতন ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি জাতিবৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছেন। এর পরেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না, অভিযোগ তুলে গত অগস্টে নির্যাতিতা কয়েক জন ছাত্রী অনশনে বসে ছিলেন। এর পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করে ই-মেল করেন। সেই মর্মে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্যও জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক।
এর পরেও বিশ্বভারতী পদক্ষেপ করেনি অভিযোগে ফের মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন ডাকঘর সংলগ্ন তালধ্বজের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়া ব্যানার নিয়ে অনশনে বসেন ছাত্রীরা। ওই ছাত্রীদের ক্ষোভ,“ দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আমরা উপাচার্য, কর্মসচিব থেকে শুরু করে সর্বত্র অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। তাঁরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই অবস্থায় আমরা নিজেদেরকে একেবারেই সুরক্ষিত বলে মনে করছি না। তাই সুবিচারের আশায় আবার আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।” ওই দুই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।