স্কুলের ভেঙে পড়া অংশ। —নিজস্ব চিত্র।
আবার পুরুলিয়ায় স্কুলঘরের ছাদের চাঙড় খসে যাওয়ার ঘটনা। এ বার ক্লাসঘরে চাঙড় খসে যাওয়ার ঘটনা পুরুলিয়া জেলার নেতুড়িয়া পারবেলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কিত অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সত্যপ্রিয় গুরু জানান, প্রথমে স্কুলের দোতলায় মেয়েদের শৌচাগারের ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সবাই।
এই ঘটনায় জেরে আতঙ্কিত স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরাও। সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ বছরে ওই স্কুলের কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। স্কুলের যে অংশে এই চাঙড় খসে পড়েছে, ওই ভবনটির বেহাল অবস্থা। স্কুলের প্রধানশিক্ষক ১৪ দিন আগে অবসর নিয়েছেন। কারও কারও দাবি, প্রাক্তন প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতির সম্পর্ক ভাল না থাকায় স্কুলের উন্নয়নের কাজ থমকে ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘আমি সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ গিয়ে দেখি স্কুল বিল্ডিংয়ের উপরের অংশে একটা জায়গার চাঙড় খসে পড়েছে। আমি তড়িঘড়ি ছেলেমেয়েদের জানাই সে কথা। ওদের ওই দিকে যেতে নিষেধ করি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘গত ৫ বছর ধরে স্কুলের কোনও সংস্কার হয়নি। ফলে বেহাল দশা এখন বিল্ডিংটির। আজ এই ঘটনার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত। অবিলম্বে আমি এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’’
এ নিয়ে নেতুড়িয়া ব্লকের বিডিও অজয় কুমার সামন্ত বলেন, ‘‘আমরা আগামিকাল (মঙ্গলবার) ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাব। স্কুলের ফান্ডে অর্থ রয়েছে। প্রয়োজনে বেহাল অংশটি আপাতত বন্ধ করে সেটির মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পুরুলিয়ার আদ্রা থানা এলাকায় একটি স্কুলের দেওয়াল ধসে পড়ে একটি শিশু মারা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে সোমবারের এই ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।