কলেজে বসল যন্ত্র, সহজেই মিলবে স্যানিটারি ন্যাপকিন

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একটি পাইলট প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিল রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৬
Share:

এই সেই মেশিন। —নিজস্ব চিত্র।

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একটি পাইলট প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিল রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে শনিবার থেকে রামপুরহাট কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রথম ভেন্ডিং যন্ত্রটি বসিয়ে পরিষেবা চালু হচ্ছে। কলেজ সূত্রে দাবি, প্রকল্পটির শুরুর জন্য বৃহস্পতিবার রামপুরহাট কলেজের ছাত্রীদের কমনরুম এবং মহিলাদের শৌচালয়ে ওই দুটি যন্ত্র বসানো হয়।

Advertisement

রামপুরহাট মহকুমা শাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে রামপুরহাট কলেজে প্রথম ভেন্ডিং যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেখান থেকে দশ টাকায় একটি প্যাকেটের মধ্যে তিনটে ন্যাপকিন পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে ন্যাপকিন ডিসপোজাল যন্ত্রও কলেজে বসানো হবে।’’ এসডিও জানান, পাইলট প্রোজেক্টের মাধ্যমে রামপুরহাট কলেজের পরে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রামপুরহাট হাইস্কুল ফর গার্লস এবং রামপুরহাট রেডক্রস সোসাইটি এবং রামপুরহাট হাসপাতালে ওই ভেন্ডিং যন্ত্র বসানো হবে।

রামপুরহাট মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রথমে ওই পাঁচ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

তিনি জানান, গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রামপুরহাট শহরের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা নাটক থেকে আয়ের দশ হাজার টাকা রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। এর পরে প্রকল্পটির বাস্তব রুপ দেওয়ার জন্য রামপুরহাট বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা উন্নয়ন খাতে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এছাড়াও রামপুরহাট রেডক্রস সোসাইটি আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে একটি বড় কোম্পানির কাছ থেকে ন্যাপকিনগুলি নেওয়া হচ্ছে। পরে ন্যাপকিন তৈরির যন্ত্র কিনে সেটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, আইসিডিএস, আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ন্যাপকিন তৈরি করা হবে। রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মহিলাদের স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই ধরনের প্রকল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।’’

সিউড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঋতুকালীন সময়ে ন্যাপকিনের ব্যবহার জরুরি। নোংরা কাপড়ের ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাল জীবাণু বাহিত রোগ। এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement