West Bengal Assembly Election 2021

এলাকা নিয়ন্ত্রণ, ভরসা দিতে টহল বাহিনীর

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী  পৌঁছে যাওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:১৩
Share:

টহল: মহম্মদবাজারের রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার। ছবি: পাপাই বাগদি।

জলপাই রঙের পোশাক। আর ভারী বুটের আওয়াজ। ভোটের বঙ্গে এ ছবি নতুন নয়। তবে এ বার যেটা নজরে আসছে তা হল, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা বা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার আগেই রাজ্যে বাহিনী এসেছে। তারা টহলও শুরু করেছে।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না সেটা আগেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীরাও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। তাই কমিশনের নির্দেশে বাহিনী আসার পরই ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে শুরু হয়েছে রুট মার্চ।

Advertisement

বীরভূমেও শনিবার এসেছে ১ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান। রবিবার থেকে ওই জওয়ানদের কখনও সিউড়ি, কখনও সদাইপুর কখনও মহম্মদবাজারের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় রুট মার্চ করতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার মহম্মদবাজারের চরিচা, ভুতুরা, আঙ্গারগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টহল দিয়েছে বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানরা।

কোন এলাকায় বাহিনী রুট মার্চ হবে সেটা ঠিক করছে কে? নির্দেশই বা দিচ্ছে কে? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রশাসন ও পুলিশকর্তাদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সে সব ঠিক হচ্ছে। প্রতিটি এলাকার ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো হবে। কিন্তু এখনও বাহিনী পর্যাপ্ত নয়। তাই জেলা থেকেই ঠিক হচ্ছে কোথায় যাবে বাহিনী। তাঁদের এলাকা চিনিয়ে দেওয়ার কাজ করছে জেলা পুলিশ।’’ যে সব এলাকায় অতীত গণ্ডগোল হয়েছে বা স্পর্শকারত এলাকায় বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী পৌঁছে যাওয়ার কথা। বীরভূমের জন্য বরাদ্দ ৫ কোম্পানি বাহিনী। মাও দমনে আগে থেকেই যেহেতু খয়রাশোলে ও নলহাটিতে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী রয়েছে এবং তাদেরকে কাজে লাগানোর অনুমতি মিলেছে তাই প্রাপ্য আরও দুই কোম্পানি বাহিনী।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাহিনী চলে আসার কথা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘যেহেতু মাওবাদী দমেন আসা বাহিনী এলাকার সঙ্গে পরিচিত, তাই প্রথম দু-তিন দিন তাঁদের রুট মার্চের কাজে লাগালেও এখন তাঁদের কাজে লাগানো হচ্ছে না।’’ সিউড়িতে শনিবার আগত নতুন বাহিনীকেই বিভিন্ন এলাকা চিনিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। ২৫ তারিখের মধ্যে বাকি দুই কোম্পানি বাহিনী ঢোকার পরই ‘এরিয়া ডমিনেশন’ ও ভোটারদের ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং’ শুরু হবে জোর কদমে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement