চাকরির দাবি তে বিক্ষোভ। সিউড়ীর আবদার পুরে। —নিজস্ব চিত্র।
ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের সঠিক নিয়ম মেনে জমি রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে না এবং জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সিউড়ির আবদারপুরের কোল ব্লকের প্রজেক্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক জমিদাতা।
জমিদাতাদের অভিযোগ, কোল ব্লকের ১১ নম্বর লট পর্যন্ত জমি রেজিস্ট্রেশন এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট গতিতে চলছিল। কিন্তু, ১২ নম্বর লট থেকে সেই প্রক্রিয়া অনেক ঢিলে হয়ে গিয়েছে। এক জমিদাতা শুক্লা দাস বৈরাগ্যের দাবি, “১২ ও ১৩ নম্বর লটে ১০-১২টি করে জমি রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। ফর্ম নম্বরের ক্রম তালিকা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন না করে, তালিকায় পরের দিকে থাকা জমির রেজিস্ট্রেশন আগে করা হচ্ছে। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আটকে রয়েছে। এতে প্রকৃত জমিদাতারা বঞ্চিত হচ্ছে।’’ বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, প্রজেক্ট অফিসে এই বিষয়ে সদুত্তর চাইতে এলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য জেলা সফরের আগে নিয়োগপত্র দেওয়া না-হলে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালাবেন বলেও তাঁদের হুঁশিয়ারি।
বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা অনেকেই ভিন্ রাজ্যে সরকারি অথবা কোনও বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ করছিলেন। কিন্তু, কয়লা প্রকল্পের অধীনে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা পুরনো চাকরি ছেড়ে এসেছেন। কিন্তু, এখানকার নিয়োগপত্রও মেলেনি। সব্যসাচী মিত্র নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমি সিআরপিফে কর্মরত ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে এখানে কাজে যোগ দিতে এসেছিলাম। আমাকে ৮ জানুয়ারি নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। আগের চাকরি থেকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট নিয়ে এসে জমা দিয়েছি। কিন্তু, নিয়োগ না-পাওয়ায় এখন বাড়িতেই বসে আছি।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। যেমন ভাবে নির্দেশ রয়েছে, তেমন ভাবেই কাজ এগোচ্ছে।”