রঙ্গোলি: শস্য বীজ দিয়ে ভারতবর্ষ। মানবাজারে। নিজস্ব িচত্র
সালটা ১৮৩৩। জঙ্গলমহল জেলা ভেঙে গঠিত হল মানভূম। জেলা সদর মানবাজার। ব্যান্ডে গান বাজল। ব্রিটিশ সৈন্য করল কুচকাওয়াজ। নতুন মহকুমা হওয়ার পরে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেই ইতিহাসের স্মৃতিই যেন আবর্তিত হল।
মানভূমের জেলা সদর পাঁচ বছর পরেই স্থানান্তরিত হয়ে যায় পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বাজার আবার প্রশাসনিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল। মহকুমা সদর হিসাবে ঘোষিত হয়। জেলার ইতিহাস গবেষক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘১৮৪ বছর পরে কিছুটা হলেও পুরুলিয়ার মানবাজার তার গৌরব ফিরে পেল।’’
শুক্রবার মানবাজারের নতুন মহকুমা প্রশাসন দেশের ৬৯তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেছে। উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। সিআরপিএফ, পুলিশ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের স্কুল ও ক্লাবের সদস্যদের কুচকাওয়াজে শুক্রবার মাঠ ভরে উঠেছিল। ছিলেন এসডিপিও আফজল আবরার, এসডিও সঞ্জয় পাল। দফায় দফায় বিভিন্ন বিভাগের বাহিনী গার্ড অব অনার, বন্দুক গর্জন, ট্যাবলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উদ্যাপন চলতে থাকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাজারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, জেলার লোকগবেষক ক্ষীরোদ মাহাতো, বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রতা সমিতির রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মনোজ মুখোপাধ্যায়।