Tarapith Temple

ভিড় কম বলে মন্দির সংস্কার শুরু তারাপীঠে

রং করার জন্য ইতিমধ্যে মন্দিরের বাইরে বাঁশ বাঁধা হয়েছে। মন্দিরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই কম।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫২
Share:

তারাপীঠে মন্দির সংস্কারের জন্য মা তারার মূর্তি সরানো হল শিব মন্দিরে। রামপুরহাট। নিজস্ব চিত্র।

টানা ২০ দিন ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য তারাপীঠ মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকার জন্য তারাপীঠ মন্দিরের সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি।

Advertisement

মন্দির সংস্কারের জন্য দেবীর বিগ্রহ মূল মন্দির থেকে মন্দির চত্বরের শিব মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বিগ্রহ শিব মন্দিরে রাখা হবে। মন্দিরের সেবাইতদের মধ্যে আলোচনা করে রবিবার মন্দির রং ও সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর।

রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মূল মন্দির থেকে দেবীর বিগ্রহ মন্দির চত্বরের মধ্যে শিব মন্দিরে আনা হয়েছে। সোমবার ভোরে শিব মন্দিরে দেবীর স্নান, আরতি ও পুজো করা হয়। সকালে তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল শিবমন্দিরের বাইরে বিগ্রহের চরণ রাখা আছে। সেই চরণ ছুঁয়ে শিবমন্দিরের বাইরে থেকে দেবীমূর্তি দর্শন করে দর্শনার্থীরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারামাতা সেবাইত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবমন্দিরের ভিতরের জায়গা ছোট হওয়ার জন্য দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

রং করার জন্য ইতিমধ্যে মন্দিরের বাইরে বাঁশ বাঁধা হয়েছে। মন্দিরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থেকে পরিবার নিয়ে আসা দর্শনার্থী ননীগোপাল ভট্টাচার্য জানালেন, ‘‘এর আগে অনেকবার তারাপীঠ এসেছি। প্রতিবারই মূল মন্দিরে পুজো দিয়েছি। এবারই প্রথম শিব মন্দিরে থাকা দেবীর পুজো দিয়েছি।’’ ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া থেকে গাড়ি ভাড়া করে তারাপীঠ এসেছেন শ্যামল সাহা নামে এক দর্শনার্থী। তিনি জানালেন, ‘‘মন্দির সংস্কার করা প্রয়োজন। তবে মন্দিরের ভিতরে থাকা দেবীদর্শনের আলাদা একটা ভাললাগা আছে।’’ সেবাইত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাপীঠ মন্দিরের ভিতরে রং ছাড়াও বেদি মেরামত করা হবে। মন্দিরের ভিতরে মার্বেলের কাজ হবে। এ ছাড়া মন্দিরের বাইরেও সংস্কার ও রং করা হবে।

মূল মন্দির সংস্কার-সহ তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে তারাপীঠ মন্দির চত্বরের দ্বিতীয় পর্যায়ের সৌন্দর্যায়নের কাজও চলছে। ওই কাজের মধ্যে মন্দির চত্বরে থাকা অন্য মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলার আগে নতুন করে মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। মন্দিরগুলি তৈরি হয়ে গেলে পুরনো মন্দির ভেঙে নতুন মন্দিরে বিগ্রহগুলি নিয়ে আসা হবে। এর ফলে মন্দিরের চাতাল আরও বড় হবে বলে মন্দিরের সেবাইতরা দাবি করেছেন। মন্দিরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য নতুন করে আরও ২৭ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মন্দিরের সেবাইত সমিতি। কৌশিকী অমাবস্যার আগেই ওই সমস্ত নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement