Pahalgam Terror Attack

পহেলগাঁও কাণ্ড: সর্বদল বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ‘মানল’ কেন্দ্র! যা-ই পদক্ষেপ করা হোক, পূর্ণ সমর্থন দেবে বিরোধীরা: রাহুল

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে গোটা কাশ্মীর জুড়ে অভিযান চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনও জঙ্গির মৃত্যু বা ধরা পড়ার খবর মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২১:১৬
Share:
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সংসদ ভবনে শুরু হয় সর্বদল বৈঠক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সংসদ ভবনে শুরু হয় সর্বদল বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যা-ই পদক্ষেপ করুক, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিরোধীদের। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে গোয়েন্দা-ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিবেদন অনুসারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “যদি কিছু ভুল না-ই হয়ে থাকে, তা হলে আমরা এখানে বসে আছি কেন? কোথাও না কোথাও ব্যর্থতা রয়েছে, সেটিই খুঁজে বার করতে হবে।”

Advertisement

কাশ্মীর উপত্যকায় হত্যালীলার প্রতিবাদে গোটা দেশ সরব হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দু’পক্ষেই কূটনৈতিক স্তরে একে অন্যকে ‘আঘাত’ এবং ‘প্রত্যাঘাত’ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে সর্বদল বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী ছিলেন না বৈঠকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ৮টা নাগাদ। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোদী সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল। শুক্রবার কাশ্মীরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, গত মঙ্গলবার নির্মম ভাবে ২৬ জন সাধারণ মানুষকে হত্যার পরে জঙ্গিরা পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। তাদের খোঁজে গোটা কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনও জঙ্গির মৃত্যু বা ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

Advertisement

এই অবস্থায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেও ছিলেন ওই বৈঠকে। সর্বদল বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাহুল বলেন, “প্রতিটি রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। সরকার যা-ই পদক্ষেপ করুক, বিরোধী শিবির পূর্ণ সমর্থন জানাবে।” কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীর শান্তি ফিরুক।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর বৈঠকে সুদীপ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যাতে সব দলের প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন, সেই প্রস্তাবও তিনি করেন বলে সূত্রের খবর।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুও জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিটি দলের থেকেই পাশে থাকার আশ্বাস পেয়েছে কেন্দ্র। জঙ্গি হামলার কারণে উপত্যকায় শান্তির বাতাবরণ নষ্ট হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “গত কয়েক বছর ধরে কাশ্মীরে সব কিছু স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এই সন্ত্রাসী হামলা উপত্যকার পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement