বামফ্রন্টের সঙ্গে থাকলেও ভবিষ্যতে কোনও দক্ষিণপন্থী দলের সঙ্গে তারা জোট করবেন না।
শনিবার রামপুরহাটে দলের জেলা কমিটির কনভেনশনে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন বামফ্রন্টের শরিক আরসিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিহির বাইন। তিনি বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণপন্থী দল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে মূলত বামফ্রন্টেরই ক্ষতি হয়েছে। তা নিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠকে তাদের ক্ষোভ জানিয়েছে শরিক দলগুলি। আমাদের দলও ক্ষোভের কথা জানিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে দল তাই কোনও ভাবেই কোনও দক্ষিণপন্থী দলের সঙ্গে জোটে যাবে না। আমরা বামফ্রন্ট গত ভাবেই লড়াই করব।’’
দলীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রটিতে আরসিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসলেও গত বিধানসভা ভোটে তা সম্ভব হয়নি। বামফ্রন্টের তালিকায় ওই আসনটিকে প্রথমে আরসিপিআই-কে দেওয়া হলেও পরে জোটের স্বার্থে আসনটিকে কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নাম প্রত্যাহার করে নেন আরসিপিআই প্রার্থী কামাল হাসান। এলাকার দীর্ঘ দিনের বিধায়ক অসিত মালকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ। হাঁসন ছাড়াও জোটের স্বার্থে দক্ষিণবঙ্গে আরও একটি আসন থেকে প্রার্থী তুলে নিতে হয় আরসিপিআই-কে। ফলে দলের অন্দরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। মিহিরবাবুর প্রতিক্রিয়া তারই ফল বলে মত জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে হাঁসন এলাকায় সংগঠন গোছাতে এখন থেকেই মাঠে নেমেছে আরসিপিআই। সেই লক্ষ্যে আয়োজিত ওই কনভেনশনে মিহিরবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সুভাষ রায়, জেলা সম্পাদক কামাল হাসান এবং দলের অন্যান্য কর্মীরা। কামাল জানান, গত পঞ্চায়েত ভোটে হাঁসন বিধানসভা এলাকায় ২১টির মধ্যে ১০টি পঞ্চায়েতে দলের সদস্য নির্বাচিত হন। পঞ্চায়েত সমিতিতে দু’টি আসনে লড়ে দু’টিতেই তাঁদের দলের প্রার্থীরা জয়ী হন। কামাল বলেন, ‘‘২০১১ সালে দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৫০। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫০ হয়েছে। সুতরাং দলের সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাই বুথভিত্তিক মিটিং করার জন্য কনভেনশনে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিনের কনভেনশনে আরসিপিআই-এ যোগ দেন সিপিএমের প্রাক্তন রামপুরহাট ২ ব্লক জোনাল সম্পাদক বানু শেখ এবং কয়েক জন সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মী। এ দিনের কনভেনশনে কেন্দ্রে ক্ষমতাশীল বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক তৃণমূলের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করা হয়।