আদালতের পথে। নিজস্ব চিত্র
‘বাবা দুর্ঘটনাগ্রস্ত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন’। এমনই মিথ্যা কথা বলে বছর তেরোর এক নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সম্রাট ঘোষাল। বাড়ি পুরুলিয়ার আদ্রার পোস্টঅফিস মোড়ে। রবিবার তাকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। শারীরিক পরীক্ষার পরে ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের কাছে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকার বাবার মাংসের দোকান রয়েছে। রবিবার সকালে দোকানের কাজে তিনি আনাড়া গিয়েছিলেন। দোকানে ছিল তাঁর দুই মেয়ে।
তাঁর কথায়, ‘‘কাজ সেরে দোকানে ফিরে এসে ছোট মেয়ের কাছে জানতে পারি, এক অপরিচিত যুবক দোকানে এসে আমার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা বলে মোটরবাইকে চাপিয়ে বড় মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে।’’ এর পরে তিনি মেয়ের খোঁজ শুরু করেন। শেষমেষ কোথাও না পেয়ে রঘুনাথপুর থানায় যোগাযোগ করেন।
পরে ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে রঘুনাথপুর মহিলা থানা। ওই দিন সন্ধ্যায় আদ্রার কমলাস্থান এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককেও। পুলিশের দাবি, ওই নাবালিকা তাদের জানিয়েছে, অপহরণের পরে ,তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাস ছয়েক আগে আদ্রায় এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে আদ্রা থানা। সম্প্রতি সেই মামলায় জামিন পেয়েছে সে। এ ছাড়া, ডাকাতি ও মোটরবাইক চুরির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।