—প্রতীকী চিত্র।
বদলির নোটিসের দু’মাস পরেও দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ রেঞ্জ অফিসার। অগত্যা রেঞ্জে প্রশিক্ষণরত এক বনাধিকারিককে দায়িত্ব নিতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন ডিএফও। পাল্টা বদলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিএফও-র বিরুদ্ধেই মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) মামলা করেছেন ওই রেঞ্জ অফিসার।কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের বরাবাজার রেঞ্জের এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
ডিএফও (কংসাবতী দক্ষিণ) অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কিছুই বলব না।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, ৯ অক্টোবর বদলির নির্দেশ জারি করেন দক্ষিণ-পূর্ব চক্রের মুখ্য বনপাল বিজয়কুমার সালিমঠ। বদলির নির্দেশ ছিল বরাবাজারের বনাধিকারিক সুপ্রিয় সরকারের। কিন্তু তিনি দায়িত্ব ছাড়েননি। শেষে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে ট্রেনি রেঞ্জার অনুপম গাঁতাইতকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও শেষে ডিএফও-র বিশেষ নির্দেশে ১১ ডিসেম্বর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অনুপম। অভিযোগ, দায়িত্বভার গ্রহণের পরে তিনি দেখেন দফতরে বহু নথি নেই। যদিও অনুপম মন্তব্য করতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না করে সুপ্রিয় দাবি করেন, ‘‘তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থা। তাছড়া বদলির নির্দেশগুলি বেআইনি। এই নিয়ে স্যাটে মামলা করেছি।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, পুরুলিয়া বনবিভাগের কোটশিলার মুরগুমা বিট থেকে ২০১১ সালে বরাবাজারে বদলি হন সুপ্রিয়। সেখানেই বিট অফিসার থেকে পদোন্নতি হয়ে রেঞ্জ আধিকারিক হন। এতদিন একই জায়গায় থেকেও কেন বদলি নিচ্ছেন না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।