টালমাটাল: তখনও ফেরেনি হুঁশ। রামপুরহাট হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
এক সপ্তাহও হয়নি। টানাটানির সংসারে আয় বাড়বে এই ভেবে ধার করে টোটো কিনেছিলেন। তাতে কিছু সুরাহা হয়েছিল। সোমবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রীর থেকে কলা, বিস্কুট খেয়ে খোয়ালেন সাধের সেই টোটো। খোঁজ নেই মোবাইলেরও। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই টোটোচালকের ঠাঁই হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন থেকে হাসপাতালে আসার নাম করে ভাড়া করা হয়েছিল টোটো। পথে আসতে আসতে আলাপ জমিয়ে টোটোচালককে মাদক মিশানো কলা এবং বিস্কুট খাওয়ায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তার পরেই টোটো এবং টোটোচালকের মোবাইল নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। দিনের আলোয় এমন ঘটনায় হতবাক অনেকে। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিদুল শেখ এখন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক বলেন, ‘‘প্রতি দিনের মতো হাসপাতালের দিকে আসছিলাম। আসার পথে দেখি আমারই ওয়ার্ডের এক চেনা ব্যক্তি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ঢোকার আগে রাস্তার ধারে বেহুঁশ পড়ে আছেন। অবস্থা দেখে সন্দেহ হয়। কী হয়েছে জানতে চাই। অসংলগ্ন কথাবার্তায় অচেনা লোকের থেকে কলা, বিস্কুট খাওয়ার কথা জানায়।’’
এর পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, টোটো চালিয়ে রহিদুলের সংসার চলে। দিন সাতেক আগে আগে ধার করে টোটো কিনেছিলেন।
এ দিকে, এ ভাবে মাদক মেশানো কলা, বিস্কুট খাইয়ে আস্ত টোটো চুরির ঘটনা শহরে আগে কখনও হয়েছে বলে কেউই মনে করতে পারছেন না। এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুক পুলিশ, এমন দাবি করেছেন অন্য টোটো চালকেরা। মাসখানেক আগে সিউড়ি হাসপাতাল চত্বরে মাদক মেশানো চা খাইয়ে রোগীর পরিজনদের থেকে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।