এসডিও অফিসের সামনে বিজেপি-র অবস্থান বিক্ষোভ নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের বাতাসপুরে বগটুই গ্রামের স্বজনহারাদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিল রাজ্য সরকার। চাল, ডাল, আলু, শিশুখাদ্য-সহ বাড়ি মেরামতির ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন রামপুরহাটের বিডিও।
নিজস্ব চিত্র
রামপুরহাট-কাণ্ডের পর অতিরিক্ত তৎপরতা দেখাচ্ছে সিপিএম-বিজেপি, বললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি সিপিএম ও বিজেপি-র আমলে গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘কোনও একটি ঘটনার ছবি দেখাতে পারবেন যেখানে তাদের মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার পর এলাকায় গিয়েছেন। কিন্তু রামপুরহাট-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী এলাকা গিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।’’
— নিজস্ব চিত্র
বগটুই গ্রামে ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বাধীন দল। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছে আধাসেনা। পাশাপাশি গ্রামেই হাজির রয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার।
ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
সিবিআই আধিকারিকরা বগটুইয়ের সোনা শেখের বাড়ির ছাদে পৌঁছে যান। বোঝার চেষ্টা করেন, বাড়ির গ্রিল কেটে দুষ্কৃতীরা ঢুকে অগ্নি সংযোগ করেছিল না কি বাইরে থেকে বোমা মারা ফলে ঘরে আগুন ধরে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের সাহায্য করার জন্য সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটা থানার পুলিশকর্মীরা। মাঝে মাঝেই ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝে নিতে দেখা গিয়েছে।
সাঁইথিয়া বাতাসপুর গ্রামে মৃতের পরিবারের আত্মীয় মিহিলাল শেখ বলেন, ‘‘সিবিআই এলে সহযোগিতা করব, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছিলেন, সে ভাবেই কাজ করছে প্রশাসন। চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই কাজ এগোচ্ছে। সাথেই, আমরা গ্রামে ফিরলে নিরাপত্তা দেবেন বলেছেন। সেই মতোই আমরা গ্রামে ফিরবো ভেবেছি। কিছু কাজ আছে, দু’এক দিনের মধ্যেই আমরা গ্রামে ফিরব।’’
রামপুরহাট আদালতে ধৃত ২২ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাল সিবিআই।
এফআইআরে ২১ জন অভিযুক্তের নাম করেছে সিবিআই। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারা-সহ আরও একাধিক ধারায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাঙ্গামা ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ করা হয়েছে এফআইআরে।
সোনা শেখের বাড়ি থেকে মিহিলাল শেখের বাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে ২০০ মিটার। গোটা পথটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক ও ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা। দলের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহ। প্রয়োজনে তাঁরা ডেকে নিচ্ছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নিচ্ছেন খুঁটিনাটি।
মিহিলালের বাড়িতেই পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের।
বগটুই গ্রামে সোনা শেখের দগ্ধ বাড়িতে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহ। খুঁটিয়ে দেখছেন বাড়ির পোড়া অংশ। ব্যবহার করা হচ্ছে থ্রিডি স্ক্যানার।
বগটুই গ্রামে ভিডিয়োগ্রাফি করছে সিবিআই। সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখছেন অকুস্থল।
সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহ বগটুইয়ে পৌঁছতেই শুরু হয় নমুনা সংগ্রহের কাজ। বগটুই গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়ি খুটিয়ে দেখবেন তাঁরা। গ্রামে এই মুহূর্তে উপস্থিতি রয়েছেন অন্তত ৩০ জন সিবিআই ও সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) আধিকারিক। স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
রামপুরহাট থানায় বিশেষ তদন্তকারী দলের হাত থেকে মামলার নথি নিজেদের হাতে নিল সিবিআই। প্রায় ঘণ্টাখানেক রামপুরহাট থানায় সিটের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। থানা থেকে বেরিয়ে সিবিআইয়ের দলটি বগটুই যাচ্ছে।
বগটুই কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বে ৩০ জন সিবিআই আধিকারিকের দল পৌঁছেছে রামপুরহাটে। একটি দল গিয়েছে রয়েছে রামপুরহাট থানায়, অন্যটি বগটুই গ্রামে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ১২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, শনিবার থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি এবং মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ করতে পারে সিবিআই। তদন্তে যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তা সিটের তরফে সিবিআইকে জানানো হবে। পাশাপাশি, ধৃতদের বয়ানও নিতে পারে সিবিআই। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন এখনও পলাতক।
১৫ সদস্যের সিবিআই আধিকারিক-সহ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল তৈরি হল রামপুরহাট-কাণ্ডের তদন্তের জন্য। দিল্লি থেকে সিবিআই-এর ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে বগটুই-কাণ্ডের কেন্দ্রীয় তদন্ত। সিবিআইর-এর সহ অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত হবে।
বগটুই-কাণ্ডে ধৃত এবং অপসারিত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় রামপুরহাট এসিজেএম আদালতের বিচারক শৌভিক দে। এ দিন সরকারের পক্ষে আনারুলের পুলিশ হেফাজতের জন্য সওয়াল করেন সুরজিৎ সিন্হা। অন্য দিকে আনারুল হোসেনের পক্ষ উপস্থাপন করেন আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বগটুই-কাণ্ডে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নিয়েই তৎপর হয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১০টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের দায়ের করা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগ এবং হিংসা ছড়ানো। সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, শুক্রবার রাতেই একটি তদন্তকারী দল রামপুরহাট গিয়েছে । অভিযুক্ত ২৩ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই।