রবীন্দ্রভবনে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
কর্মশালায় তিনি এসেছেন, কিন্তু সেখানে নেই প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। এই নিয়ে শনিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। আর বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার দাবি করলেন, বাঁকুড়ায় ফুড পার্ক গড়ার ভাবনাচিন্তা চললেও প্রশাসনের আধিকারিকেরা এ দিন হাজির না থাকায় সেই ব্যাপারে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
শনিবার কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতরের উদ্যোগে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্পদ যোজনা’ নিয়ে একটি কর্মশালা হয় বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, “বাঁকুড়ার সাংসদদের কাছে শুনেছি এখানে চাষ খুব ভাল হয়। তাই ছুটে এসেছি। কিন্তু কার সঙ্গে আলোচনা করব? আমার দফতরের কোনও আধিকারিক তো এলেন না অনুষ্ঠানে।” কর্মশালার শেষে সুভাষবাবু বলেন, “কৃষিই বাঁকুড়া জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। চাষিদের স্বার্থে এখানে ফুড পার্ক গড়ার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের আধিকারিকেরা থাকলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেত।”
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “মন্ত্রী আসতে পারেন, সেই তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে আমাদের জানানো হয়নি। খবর থাকলে নিশ্চয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতেন।” যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, কর্মশালার কথা জেলা প্রশাসন ও রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরে জানানো হয়েছিল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে এ দিন বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
রামেশ্বর তেলি এ দিন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা।” তিনি জানান, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে ৭০ হাজার বেকার যুবক-যুবতীকে জৈব চাষে সাহায্য করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বড় ও ছোট ফুড পার্ক গড়ার বিষয়েও কেন্দ্র চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে ফুডপার্কগুলি কেবল ভর্তুকি পাওয়ার লক্ষ্যে যেখানে খুশি গড়ে তোলা হত। এখন এই ঘটনা রুখতে আমরা তৎপর। যেখানে চাষ বেশি হয়, সেখানেই ফুডপার্ক গড়া হবে।” মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের দফতরের আগে কোনও বাজেটই ছিল না। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যা গোটা দেশে কাজ করার পক্ষে মোটেও যথেষ্ট নয়। আমাদের দফতরের বাজেট বাড়ানোর দাবি আমরা সরকারের কাছে তুলেছি।’’ তাঁর আশা, বাজেট বাড়ানো হবে।