দশ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা যুবকের রহস্য মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে ফের পথে নামল ঝালদা। এ বার তাঁরা সিআইডি তদন্ত দাবি করলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ঝালদা পুরশহরের নামোপাড়া এলাকা থেকে কয়েকশো মানুষ প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে ছিল জ্বলন্ত মোমবাতি। সঙ্গে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘মৃত্যুর সিআইডি তদন্ত চাই’।
এই শহরের একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক শ্রীশ হালদারের নিখোঁজ হওয়া ও পরে তাঁর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তেতে রয়েছে এলাকা। ওই যুবকের সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সেই তরুণীর পরিবারই শ্রীশের মৃত্যুর পিছনে রয়েছেন বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
শনিবার সন্ধ্যায় মিছিল নামোপাড়া থেকে বেরিয়ে শহরের একটা বড় অংশ পরিক্রমা করে বীরসা মোড় হয়ে মেরি আপকার মাঠে সমবেত হয়। মূলত যুবকেরাই এই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। মিছিল শেষে মাঠে শ্রীশের ছবিতে মালা দেওয়া হয়। দাবি তোলা হয়, তাঁরা অভিযোগ তোলেন, পুলিশের তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগেই কী ভাবে পুলিশ এই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছে তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি করেন।
গত ২১ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন শ্রীশ। পরিবারের অভিযোগ, সেদিন তাঁরা পুলিশের কাছে গেলে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টা পরে এলে নিখোঁজের ডায়েরি করা হবে। কিন্তু পরের দিন নিখোঁজের ডায়েরি করার পরেও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। ১০ দিন পরে তাঁর দেহ মেলে একটি পুকুরের পাড়ে ঝোপের মধ্যে। সে দিন পুলিশ-কুকুর দিয়ে তদন্তের দাবি তুলে রাস্তা অবরোধে নেমেছিলেন বাসিন্দারা।
শনিবারের মিছিলে সামিল হন ঝালদা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস সেন, ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর পঙ্কজ মণ্ডল প্রমুখ। তাঁরাও অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’’ স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ার দিনেই পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করলে হয়তো এই পরিণতি হতো না।’’ রাস্তা অবরোধ নিয়ে পুলিশের মামলা করা নিয়ে তিনি সমালোচনা করেন। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘তদন্ত নিয়ে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়। সঠিক ভাবেই তদন্ত এগোচ্ছে।’’