থেমে গেলেন আদালত
চলে গেলেন পুরুলিয়ার নিজস্ব ঘরানার ছৌ শিল্পী আদালত মাহাতো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার বালিগাড়া গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। ধনঞ্জয় মাহাতো, যাঁকে ছৌ দর্শকরা ধুন্দা মাহাতো নামে চেনেন তাঁরও বাড়ি এই গ্রামেই। আদালত বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ছৌনাচ ছিল তাঁর রক্তে। জেলার লোকসংস্কৃতি গবেষক সুনীল মাহাতোর কথায়, ‘‘পুরুলিয়ার বীররসের নাচের মূল চরিত্র যেমন কার্তিক, মহিষাসুর, এই সব চরিত্রে নাচতেন আদালত।’’ বীররসের এই শিল্পী রাসু সহিসের দলের সদস্য ছিলেন। আদালত মূল চরিত্রের নৃত্য করতেন। অসুস্থ শরীরেও পালার কথা শুনলেই সাজতে বসতেন তিনি। মন যে তাঁর কেবলই বাঁশির সুরে ঘুরত। কেবল গাঁ-ঘর নয়, দেশের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠানও করেছেন এই শিল্পী। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। ছৌনৃত্যের আরেক শিল্পী দুঃশাসন মাহাতো বলেন, ‘‘এখন তো ছৌশিল্পীরা গাড়িতে করে যান। তখন তো এত গাড়িঘোড়া ছিল না। ‘ওস্তাদ’ আদালত নিজেই কাঠের মইয়ের উপর মুখোশ সাজিয়ে বয়ে নিয়ে যেতেন। এতটাই ভালোবাসা ছিল আদালতের। একটা পালার মধ্যে পোশাক পাল্টে পাল্টে বিভিন্ন চরিত্রে নাচতেন। এটা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আদালতের নাচ যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন কী অসাধারণ দক্ষতায় আদালত এই নাচ নাচতে পারতেন। দর্শকেরা মুগ্ধ হয়ে তাঁর নৃত্যশৈলী উপভোগ করতেন!’’ মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। ক্যানসারে ভুগছিলেন। আদালতের ভাইপো সুদেব মাহাতোর কথায়, ‘‘মৃত্যুর আগে ওঁর শরীর ভেঙে গিয়েছিল, তখনও ছৌয়ের কথা উঠলেই বা ধামসা-সানাইয়ের যুগলবন্দি শুনলেই কেমন অন্যরকম হয়ে যেতেন। উঠে বসতেন।’’ তখন চোখে তাঁর অন্য এক আলো!
নাটকের গান
না ট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ কিংবা অতুলকৃষ্ণ মিত্রের লেখা ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল সকলই ফুরায়ে যায় মা...’ গানগুলি কার না চেনা! আপাতদৃষ্টিতে দেশাত্মবোধক, ভক্তিগীতি হিসেবে পরিচিত হলেও গানগুলির অন্য ইতিহাসও রয়েছে। তা হল, বাংলা নাটকের জন্যই গানগুলি প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। ১৮৮১ সালে অতুলকৃষ্ণ মিত্র গানটি লেখেন আলোড়ন ফেলা নাটক ‘মাধবী কঙ্কন’-এর জন্য। ১৯০৯ সালে ‘সাজাহান’ নাটকের জন্য ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি লেখেন কবি, সুরকার গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল। নাটকে গানের সমৃদ্ধ ইতিহাসের শুরুটা অবশ্য অনেক আগে। গবেষকদের অনেকের মতে, বাংলা নাটকে প্রথম গানের ব্যবহার করেন রুশদেশীয় নাট্যপ্রেমী লেবেদেফ। সালটা ১৭৭৫-র ২৭ নভেম্বর। ইংরেজি ‘দ্য ডিসগাইস’য়ের বাংলা রূপান্তর ‘কাল্পনিক সংবদল’ নাটকে। গানের কলি ছিল, ‘গুণ সাগর নাগর রায় নগর দেখিয়া যায়...’। ‘বিদ্যাসুন্দর’ নাটকের জন্য অবশ্য নিজেই গান লেখেন ভারতচন্দ্র। সালটা ১৮৩৫। এর পর মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল— নাটকের গান লেখার তালিকায় কে নেই! ‘‘জুড়াইতে চাই, কোথায় জুড়াই/ কোথা হতে আসি, কোথা ভেসে যাই”— ১৮৮৫ সালে গিরিশচন্দ্র ঘোষের লেখা ‘বুদ্ধচরিত’ নাটকের এই গানটি শ্রীরামকৃষ্ণের পছন্দ হয়েছিল। শিশিরকুমার ভাদু়ড়ি নাটককে পৌরাণিক, ঐতিহাসিক ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত করতে রবীন্দ্রনাথের দ্বারস্থ হন। ১৯২৫ সালে ‘চিরকুমার সভা’, ১৯২৭ সালে ‘শেষরক্ষা’ নাটক দু’টি অভিনয়ের অনুমতি দেন বিশ্বকবি। বাংলা নাটকের গানের সেই ইতিহাস তুলে ধরতে বাছাই আটটি গানের ডালি নিয়ে শনিবার অনুষ্ঠান হল সিউড়ির সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ‘সংস্কার ভারতী’। সিউড়ি রামকৃষ্ণ সভাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সম্পাদনায় ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রাদেশিক সম্পাদক ভরত কুণ্ডু, সভানেত্রী তথা লোকসঙ্গীত শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী। স্বপ্নাদেবী জানান, আদি থেকে বর্তমান, নাটকে গানের ব্যবহারের ইতিবৃত্ত তুলে ধরতেই ওই অনুষ্ঠান। শনিবারই দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ভীমবধ’ এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায় অনুপ্রাণিত ‘চাণক্য-চন্দ্রগুপ্ত’।
নির্জনতার কবি
ফিরতি পথে ‘দু’চার পঙক্তি ট্রেনে, জানলার ধারে এমনই মনে এল/ সন্ধ্যায় বাড়ি গিয়ে লিখবো নিশ্চয়’... নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে লিখে চলেছেন। লিখতে লিখতেই সুবর্ণরেখায় বৃষ্টি এসে পড়ে। লিরিকের মাদকতায় ‘জন্মান্তরের কবিতা’ সংকলন, আর কবি দেখে ফেলেন ‘পানপাতা মুখ/ বিষণ্ণ মুখের পাশে সুখী কালো তিল।’ তিনি রাঙামাটি বীরভূমের কবি নাসিম এ আলম। জেলার প্রকাশনা ‘চয়নিকা’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নব্য কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলোর নির্জনে লেখা।’ নাসিম নির্জনতার কবি। আড়ালপ্রিয়ও! ‘উপনিষদের পাশে কেউ রেখেছিল ছাতিম পাতাটি’ কিংবা ‘...দ্বিতীয় চাঁদের দেশে/ স্মৃতিময় হলুদ বোর্ডের মাঝে, কালো অক্ষরে/ কীর্ণাহার স্টেশন জেগে থাকে’র মতো লাইনে সেই সংকেত। বীরভূমের নদী, নরম রোদ মেখে পাখিদের ওড়াউড়ি, নক্ষত্রের রাত, বর্ষার বিস্তীর্ণ বিল— এ সবই শব্দে-বাক্যে ছুঁয়ে ছুঁয়ে নকশিকাঁথার ছবিতায় হাজির তাঁর ধুলোর নির্জনে কাব্যে।
নবতি মণীন্দ্র
এমন করে কে-ই বা বলতে পারেন—‘এখন বিকেলভারে বসে আছো দৃশ্যপরিধিতে-/ জিভে এসে ছোঁয়া লাগে, কিছু তেতো কিছু-কিছু লোনা।/ আর সবই স্বাভাবিক। এভাবে সমস্ত এসে ঘেরে।/ প্রতিদান চেয়েছিলে? দানে তবে অমৃত ছিল না।’ তিনি কবি শঙ্খ ঘোষ। তাঁর ‘প্রতিদান’ শীর্ষক নতুন কবিতা প্রকাশিত হয়েছে কবি মণীন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে মলয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘নবতি মণীন্দ্রবর্ষ’ উদযাপন পুস্তিকায়। একানব্বই ছুঁই ছুঁই কবি মণীন্দ্রকে নিয়ে লিখেছেন গৌতম বসু, গোপা দত্তভৌমিক, সুমন গুণ। ‘সম্পাদকীয়’টিও নিবেদিত কবি-কথায়। পুনর্মুদ্রিত হয়েছে কবির একক কাব্যগ্রন্থ ‘নীল পাথরের আকাশ’-এর ভূমিকা। শঙ্খ ঘোষ ছাড়া কবিতা লিখেছেন, দেবারতি মিত্র, অরণি বসু, অভীক মজুমদার প্রমুখ।
‘মার্ক্সিস্ট’ কবি
এক সময় ব্যক্তিজীবনে ঘোরতর বামপন্থী এই কবি বাংলা কবিতাকে ধাক্কা দিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ‘ইস্পাতের মতো উদ্যত দিন’। নাগরিক উপমায় সাজানো এই কবি সদর্পে ঘোষণা করতে পারেন, ‘আমি রোমান্টিক কবি নই, আমি মার্ক্সিস্ট’। তিনি সমর সেন। জন্ম ১৯১৬-র ১০ অক্টোবর, কলকাতার বাগবাজারে। বাবা অরুণ সেন বিশ্বভারতীতে ইতিহাসের নামজাদা অধ্যাপক। দাদু আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন। এ রকম একটি পরিবারে বড় হওয়া সমর সেন ছোট থেকেই অন্য রকম। ইংরেজি সাহিত্যের তুখোড় এই ছাত্রের রাজনৈতিক দর্শনে হাতেখড়ি রাধারমণ মিত্র, বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়দের কাছে। ‘কয়েকটি কবিতা’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে এই কবির আত্মপ্রকাশ। তাঁর আগমনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন স্বয়ং বুদ্ধদেব বসু। তবে শুধু কবিতার জগতেই বাঁধা থাকেননি সমর। আদর্শের কারণে ছুটে গিয়েছেন সোভিয়েত রাশিয়ার প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদের কাজ নিয়ে। তাঁর জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে সাংবাদিকতায়। ‘নাও’ ও ‘ফ্রন্টিয়ার’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তিনি। সামলেছেন বিজ্ঞাপন সংস্থার দায়িত্বও। ১৯৮৭ সালে মৃত্যুর মাত্র ন’বছর আগে লিখে ফেলেন আত্মজীবনীধর্মী লেখা ‘বাবুবৃত্তান্ত।’ এ হেন সমর সেনের জন্মশতবর্ষ পালন করল কাটোয়া বইমেলা অছি পরিষদ। তাদের আয়োজিত ‘শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা’য় এ বারের বিষয় ছিলেন সমর সেন। ডাকবাংলো রোডের রাজেন্দ্র চারু সভাগৃহ ভাষাসদনে আয়োজিত ওই সভায় যোগ দেন দিলীপ সাহা ও তুষার পণ্ডিত। সভাপতিত্ব করেন নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
সুরের জন্য
বাবাকে গান শেখাতে আসতেন এক জন। তাঁর কোলে বসে ছেলেবেলা থেকেই গানের তালিম শুরু আসানসোলের এই মাস্টারমশাইয়ের। তিনি মাধব অধিকারী। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনখারাপ হয়ে গেল তাঁর! বাংলা গান শিল্পাঞ্চলের তরুণদের আর তেমন টানে না যে। ঠিক করলেন বাংলা গানের জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে কিছু একটা করতে হবে। নেমে পড়লেন কোমর বেঁধে। উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা গানের সুরের আবেদন আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া। প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে বসতে থাকল গানের আসর। ভাড়ার খরচটা অবশ্য মাস্টারমশাইয়ের নিজের পকেট থেকেই যায়! সেও বছরে চার বার। মাধববাবুর উদ্যোগে সম্প্রতি এমনই একটি অনুষ্ঠান হয়ে গেল আসানসোলের গরাই রোডের একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে। সেখানে গান শোনালেন ২৫ জন শিল্পী। শুধু অনুষ্ঠানের আয়োজনেই থেমে নেই মাধববাবুর এমন উদ্যোগ। পড়ুয়াদের গানের তালিমও দিয়েছেন তিনি, একেবারে নিখরচায়!
রম্য পালা
বীরভূম রেপার্টরি থিয়েটারের নতুন প্রযোজনায় রামপুরহাটের রক্তকরবী মঞ্চে অভিনীত হল ‘অকালবোধন পালা’। নির্দেশনা গম্ভীরা ভট্টাচার্য। দেবকুমার ঘোষের লেখা রম্য নাটকে অভিনয় করেছেন বিভিন্ন থিয়েটার ওয়ার্কশপ থেকে উঠে আসা মঞ্চ-শিল্পীরা। সঙ্গে বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াও ছিলেন। সমকালের প্রেক্ষিতে রামায়ণের কাহিনিকে ছুঁয়ে দেখার এ নাটকে তিনটি গান ব্যবহার করেছেন নির্দেশক। সমাজভাবনা, রাজনীতি বার বার নাট্য কাহিনির আবর্তে ঘুরেছে। সংলাপে, অভিনয়ে তারই দীপ্তি।
গোলাপি গল্প
তিনি লাল মাটির দেশের মানুষ। কিন্তু এক গোলাপি-ইতিহাসে ঢুকে পড়ল তাঁর নাম। বোলপুরের প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায় ক্রিকেট মাঠে আম্পায়ারিং করছেন বছর আঠেরো। দেশের প্রথম শ্রেণির নানা ম্যাচ থেকে মহিলাদের আম্তর্জাতিক ওয়ান-ডে, খেলিয়েছেন অনেক ম্যাচ। তবে গত সপ্তাহে যে অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে, তার জন্য এখনও অপেক্ষা করছেন দেশের বহু আম্পায়ার। গত সপ্তাহে ইডেনে গোলাপি বলে প্রথম ম্যাচের আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন বছর সাতচল্লিশের প্রেমদীপবাবু ওরফে রাজা। গোলাপি বলে খেলা নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক চলেছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। শেষমেশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগ এবং সিএবি-র পরিচালনায় এ দেশে প্রথম ইডেনেই পরীক্ষামূলক ভাবে ম্যাচ খেলা হল গোলাপি বলে। ১৮ থেকে ২১ জুন চার দিনের সিএবি সুপার লিগের ফাইনালে মোহনবাগান বনাম ভবানীপুরের মধ্যে খেলাটি হয়ে গেল সেই বলে। বল মাঠে গড়ানোর পর থেকে অবশ্য গোলাপি সেই কোকাবুরায় বিভোর অনেক ক্রিকেটারই। সেই ম্যাচ খেলানোর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রেমদীপবাবু জানান, ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে ভাল লেগেছে। গোলাপি বলের এই ম্যাচ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর কাছে। তাঁর সঙ্গে ওই খেলায় আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন মুকেশ সিংহ। প্রেমদীপবাবু জানান, ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়া বোলার মহম্মদ শামি, শতরান করা অরিন্দম ঘোষ থেকে শুরু করে নানা খেলোয়াড় ও ম্যাচের দায়িত্বে থাকা অনেকেই গোলাপি বলে খেলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে আম্পায়ারিং করছেন প্রেমদীপবাবু। তাঁর মতে, গোলাপি বলে খেলানোর বিষয়টি নিয়ে সৌরভের উদ্যোগই ছিল বেশি। পরীক্ষামূলক ম্যাচ সফল হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে বিসিসিআই সরকারি ভাবে এই বলে ম্যাচ চালু করবে বলে আশা করছেন বোলপুরের প্রেমদীপবাবু।