মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফাইল চিত্র।
সোমবার বীরভূম সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি থাকছে রাজনৈতিক কর্মসূচিও। মঙ্গলবার বোলপুরের রাস্তায় রোড শো বা র্যালি করবেন তিনি। থাকবে ৩টি ট্যাবলো। সেই ট্যাবলো থেকে শিল্পীরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতী ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বভারতী নিয়ে বিজেপির তৎপতার পর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও মুখ খুলেছেন। এবার বিজেপি বিরোধী প্রচারে রবীন্দ্র সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করতে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রচার করা হচ্ছে, বিজেপি-র উগ্র হিন্দুত্ববাদের একেবারেই উল্টো ভাবনা ছিল রবীন্দ্রনাথ বা বিবেকানন্দের মতো বঙ্গমনীষীদের।
আরও পড়ুন: দাঁতনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিল
আরও পড়ুন: গভীর রাতে থানার সামনে দাঁড় করানো গাড়িতে আগুন, তদন্তে পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বোলপুরে ইন্দ্রনীল। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবারই বোলপুর পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। ট্যাবলোতে যে শিল্পীরা গান গাইবেন, তাঁদের অনুশীলন দেখেন। নিজেও গলা মেলান তাঁদের সঙ্গে। র্যালি থেকে শেষে গাওয়া হবে শান্তিনিকেতনের আশ্রম সংগীত ‘আমাদের শান্তিনিকেতন, সে যে সব হতে আপন’। ইন্দ্রনীল বলেন, “এই গানের মাধ্যমে আমরা রবীন্দ্র ভাবনাকেই তুলে ধরব। বাংলার মানুষ বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টি নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপায়নের জন্য প্রস্তুত থাকে। এ বারও সেটাই হবে।” তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “আমরা মাটির সঙ্গে মিশে থাকি। তাই র্যালিতেও মাটির সংস্কৃতি মিশে থাকবে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি বাউল কীর্তনও থাকবে।”