আমডহরায়। নিজস্ব চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। সোমবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের আমডহরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্রটি বন্ধ করে চলে যান সহায়িকা ও কর্মী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুপারভাইজ়ার রিনা নন্দী। তিনি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে ডেকে ভুল স্বীকার করিয়ে ফের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিডিপিও (বিষ্ণুপুর) দেবরঞ্জন রাজ।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার পরে মাপ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় কিছু অভিভাবক স্থানীয় দোকানে তা ওজন করে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারা শেখ, আইতুন খানদের অভিযোগ, “ওজন করিয়ে দেখছি, আড়াইশো গ্রাম চাল, আধ কিলো আলু কম। মুসুর ডালও দেড়শো গ্রাম কম পেয়েছি। অনেকেই এমন কম কম জিনিস পেয়েছেন।”
বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ খাদ্যসামগ্রী ফেরত দিতে ছুটে যান কেন্দ্রে। শুরু হয় বিক্ষোভ। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্মী ও সহায়িকা কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান। পরে সুপারভাইজ়ার রিনা নন্দী কেন্দ্রে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি বলেন, ‘‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে ফের খাদ্যসামগ্রী বিলির ব্যবস্থা করি। কোনও দিন যাতে এমন না হয়, তার জন্য সতর্ক করা হয়েছে কর্মী ও সহায়িকাকে।’’ এ দিকে, খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অনুষ্কা চন্দ্র বলেন, “আলু ওজন করে প্যাকেট করছেন সহায়িকা। মগের মাপে চাল ও ডাল দিতে গিয়ে কম হয়ে গিয়েছে। তার পরে থেকে আমরা ঠিকমতো ওজন করেই দিচ্ছি।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে সিডিপিও (বিষ্ণুপুর) দেবরঞ্জন রাজ বলেন, “এর আগেও গোটা ডিমের পরিবর্তে আধখানা ডিম দেওয়ার অভিযোগে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর থেকে ডিমের মূল্য কেটে নেওয়া হয়েছিল। এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে সুপারভাইজ়ারকে ওই কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বারবার খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ উঠছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”