পুলিশের কাছে বধূর অভিযোগ, তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। —প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে একা পেলেই জড়িয়ে ধরেন দেওর। অত্যাচার করেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি, তাঁকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করা হয়েছে। এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক বধূ। পুরুলিয়ার মফস্সল এলাকার ঘটনা। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওই বধূ জানান, ২০১৮ সালে তাঁর বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন লক্ষাধিক টাকা পণ, মোটর বাইক, সোনার গয়না, আসবাবপত্র ইত্যাদি উপহার নিয়েছেন। বিয়ের পর আরও ৫০ হাজার টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং দেওর। অভিযোগকারিণীর আরও অভিযোগ, দেওর তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতেন। একা বাড়িতে পেলেই তাঁকে জড়িয়ে ধরতেন। এ নিয়ে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে অভিযোগ করলে কোনও ফল তো হয়নি। বরং অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যেত। রবিবারই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ঘরবন্ধ করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই বধূর। জানান, ওই কাজে স্বামী, দেওর এবং শাশুড়ি এই কাজে শামিল হয়েছিলেন। এমনকি, তিনি নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করায় দেওর তাঁর গলা টিপে ধরেন। তিনি কোনও ক্রমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।