পৌষমেলার নানা দাবি নিয়ে আজ অবস্থান ব্যবসায়ীদের

অনলাইনের মাধ্যমে পৌষমেলায় দোকানের জায়গা বুকিংয়ের পদ্ধতি প্রথম থেকেই মানতে চায়নি বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ২৫ নভেম্বর তারা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয়। এরপরে মেলা নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়ে ৩০ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় ব্যবসায়ী সমিতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০১
Share:

মেলা শুরুর আগে বিদ্যুতের খুঁটিতে রং করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী চত্বরে শুক্রবার গণ-অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পৌষমেলায় অংশগ্রহণকারী দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যদিও বিশ্বভারতী চত্বরের কোথায় তাঁরা অবস্থান করবেন তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

অনলাইনের মাধ্যমে পৌষমেলায় দোকানের জায়গা বুকিংয়ের পদ্ধতি প্রথম থেকেই মানতে চায়নি বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ২৫ নভেম্বর তারা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয়। এরপরে মেলা নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়ে ৩০ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় ব্যবসায়ী সমিতি। কিন্তু সমিতির অভিযোগ, মেলা নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি জমা দেওয়া হলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও তাঁদের আহ্বানে সাড়া দেননি। বুধবার, অনলাইনে জায়গা বুকিং শুরু হওয়ার দিনেই, নানা অসুবিধের মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। সে দিনই ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবসাদার, ডেকোরেটার্স কর্মীদের নিয়ে মেলা মাঠে জমায়েত হয়ে পৌষ মেলা নিয়ে একটি আলোচনায় বসে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর এই ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাইকিং করে শহরের সমস্ত দোকানদারদের শুক্রবার জমায়েতের জন্য ডাক দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, চার দিনের বদলে ছ’দিন মেলা, অনলাইনের বদলে পুরনো পদ্ধতিতে দোকানের জায়গা বুক করার মতো একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে অবস্থান হবে। সমিতির পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, ‘‘দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement