তৃণমূলের অবস্থান-বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
পূর্ব ঘোষিত এবং নির্ধারিত সূচি মেনে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এলাকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা এবং ডাকঘর লাগোয়া এলাকায় অবস্থান, বিক্ষোভ করল তৃণমূল।
বোলপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা ব্যাঙ্কের শাখা, ডাকঘর এবং উপ-ডাকঘর থেকে ১০০ মিটার দূরে কার্যত মঞ্চ বেঁধে দিনভর কর্মসূচি করেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা। শুক্রবার সকালে বোলপুর পুরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী সমর্থক হাজির হন এলাকায় এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক শাখার পাশে। জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত এবং অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মোতাবেক, শুক্রবার থেকে লাগাতার ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘর লাগোয়া এলাকায় অবস্থান এবং বিক্ষোভে বসেন তাঁরা।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনু্যায়ী ব্যাঙ্ক লাগোয়া এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা আন্দোলন শুরু করলেন রামপুরহাট শহরে ডাকবাংলা পাড়া মোড়, কামারপট্টি মোড়, নিশ্চিন্তপুর এই তিন জায়গায়। মহকুমা এলাকায় রামপুরহাট থানার আখিড়া-সহ তারাপীঠ থানার তারাপীঠ, নলহাটি থানার নলহাটি শহরের তিন জায়গা, লোহাপুর কাঁটাগড়িয়া মোড়, কুরুমগ্রাম, মুরারই থানার রাজগ্রাম, মুরারই, পাইকর, হিয়াতনগর ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর, কোটাসুর, কামরাঘাট এই সমস্ত জায়গাগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কর্মীরা। দলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য জানান, অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত টাকার জোগান, গ্রাহকদের টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা শিথিল করার দাবি-সহ নোট বদলের গ্রাহকদের হয়রান দূর করার দাবি জানান হয়।
এ দিন সাঁইথিয়া স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে দেখা গেল গ্রাহকদের বিশাল লাইন। কেউ আটটা, কেউ ন’টা আবার কেউ সাড়ে নটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সবার একটাই প্রশ্ন টাকা পাবতো?
ততক্ষণে রাজ্যের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থক ব্যাঙ্ক থেকে কিছুটা দূরে ৫০০ ও ১০০০ টাকা বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। দলের বীরভূম জেলা সম্পাদক দেবাশিস সাহা বলেন, ‘‘এ দিন শহরের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছাকাছি ছ’টি মোড়ে দলের তরফে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হয়।’’